চিনা রসুনের ঝাঁজে ভারতীয় রসুনের চোখে জল। দেশি রসুনের দাম বেড়ে যাওয়ায় সেই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ফের বাজারের দখল নিতে উঠেপড়ে লেগেছে চিন থেকে আমদানিকৃত নিম্ন মানের বিষাক্ত রসুন। দেশের সমস্ত প্রান্তের বাজারেই চিনা রসুনে ছেয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ভারতীয় রসুনের বিক্রি কমার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
এই রসুন নিষিদ্ধ করা হয়েছে এক দশক আগেই। তা সত্ত্বেও চিনা রসুনের আধিপত্য আবার ভারতীয় বাজার জুড়ে। নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চোরাগোপ্তা ভাবে ঢুকে পড়ে ভারতে রমরমিয়ে বিকোচ্ছে চিনা রসুন। ‘গোন্ডাল এগ্রিকালচার প্রোডিউস’ বাজারের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, শুক্রবার গোন্ডালের বাজারে ২০০০ বস্তা দেশি রসুনের লেনদেন হয়। ২০ কেজি রসুনের দাম ৩৬০০ থেকে ৫৫০০ টাকার মধ্যে ঘোরফেরা করেছে। অর্থাৎ, প্রতি কেজির দাম ছিল ২৭৫ টাকার মধ্যে। কোয়া ছোট, কম সাদা। সেগুলোই আসল খাঁটি ভারতীয় রসুন।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, ভারতে কেন চিনের রসুনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল? একে বিষাক্ত রসুনই বা কেন বলা হচ্ছে? প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে চিনা রসুন আমদানি করা বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। পরীক্ষা করার পর চিনা রসুনে ছত্রাকের সংক্রমণ ধরা পড়ে। অনেকে বলছেন সে তো দেশি খাবারেও অনেক সময় ছত্রাক পাওয়া যায়, সেটাই কি নিষেধাজ্ঞার মূল কারণ? নাকি চীন রসুনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে না পেরে এমন সিধান্ত। রসুন না হয় নিষিদ্ধ হল, কিন্তু বাজারের বহু কিছুই তো চীনের দখলে, এমনকি দেশের মাটিও, তার কি হবে ?