করোনার সময় রেলের যে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছিল, তা আর কমানো হয়নি। এবার লোকসভা ভোটের মুখে এক ধাক্কায় রেলের ভাড়া কমানো হল ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ।
অতি মহামারীর সময় সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেসই হোক কিংবা প্যাসেঞ্জার ট্রেন, ‘স্পেশাল’ হিসেবে সেগুলি ধাপে ধাপে চালানো শুরু হয়। ফলে ফারাক হয়ে যায় যাত্রীভাড়ায়। আগে যেখানে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ন্যূনতম ভাড়া ছিল ১০ টাকা, তা এক ধাক্কায় ২০ টাকা বেড়ে যায়। নতুন ভাড়া হয় ৩০ টাকা। কিন্তু এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরেও সেই বর্ধিত ভাড়া কমার নাম নেই। সম্প্রতি এ ব্যাপারে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছিলেন, ‘‘এই সব স্পেশাল ট্রেনে সফরের জন্য যাত্রীদের ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে। মন্ত্রক ঠিক করেছে খুব তাড়াতাড়ি এই ব্যবস্থা বন্ধ করা হবে।’’
২৭ ফেব্রুয়ারি থেকেই প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সেকেন্ড ক্লাস আসনের আগের ভাড়া চালু হয়েছে মধ্য রেলে। মধ্য রেলের মেন লাইনের সব মেমু ট্রেনের ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হল। এদিকে অসংরক্ষিত টিকিট কাটার ইউটিএস অ্যাপেও এই সংক্রান্ত আপডেট করা হয়েছে। এদিকে আগের যত প্যাসেঞ্জার ট্রেন এখন এক্সপ্রেস নামে ছুটছে, সেই সব ট্রেনেও এই নয়া ভাড়া প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মধ্যরেল।
এদিকে কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রবীণ নাগরিকদের টিকিটে ছাড় আর ফেরানো হয়নি রেলের তরফ থেকে। অনেকেই মনে করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে হয়ত প্রবীণ নাগরিকদের জন্য টিকিটের ছাড় ফের চালু করতে পারে রেল। তবে রেল জানিয়ে দিয়েছে, এখনই প্রবীণ নাগরিকদের ছাড় ফেরানোর বিষয়ে ভাবছে না তারা।