বিয়ে করতে চেয়েছিলেন পাশের ফ্ল্যাটেরই এক তরুণীকে। কিন্তু তিনি বিশেষ পাত্তা দেননি। ক্ষোভের বশে তরুণীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টায় বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন ‘প্রেমিক’। তরুণী বেঁচে গেলেও, ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ওই কমপ্লেক্সের সাত জনের। অভিযুক্ত সঞ্জয় দীক্ষিত ওরফে শুভমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে ইন্দোরের বিজয়নগর এলাকার একটি আবাসনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭ জনের মৃত্যু হয়। আরও কয়েকজন আহত হন। আগুনের লেলিহান শিখা এতটাই ভয়ংকর ছিল যে তা থেকে বাঁচতে অনেককে দেখা গিয়েছে ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিতে। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে উদ্ধারকাজও ঠিকমতো করতে পারেননি দমকল কর্মীরা। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লাগে। কিন্তু পরে অগ্নিকাণ্ডের আসল রহস্য ফাঁস হতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের (MP Police)।
আরও পড়ুন: উত্তমপ্রদেশ! ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে থানাতেই ফের ধর্ষিত নাবালিকা
ইন্দোর পুলিশ জানিয়েছে এক প্রেমিকের পাগলামোর খেসারত দিতে হয়েছে ওই সাতটি তরতাজা প্রাণকে। শুভম দীক্ষিত নামের ওই বছর সাতাশের যুবক ওই আবাসনেই এক যুবতীর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিল। কয়েক সপ্তাহ আগে মেয়েটির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তাঁর। ওই যুবতী আবার শুভমকে ছেড়ে অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। এমনকী নতুন প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর বিয়েও ঠিক হয়ে যায়। যা সহ্য করতে পারেনি শুভম। অভিযোগ প্রাক্তন প্রেমিকাকে শিক্ষা দিতে শনিবার সকালে তাঁর স্কুটিতে আগুন লাগিয়ে দেয় ওই যুবক। উদ্দেশ্য ছিল, প্রাক্তন প্রেমিকার গাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া।
আর তাতেই ঘটে গেল মহা বিপত্তি। প্রেমিকার গাড়ি থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আবাসনের গ্যারাজের অন্য গাড়িগুলিতেও। ধীরে ধীরে আগুন ছড়াতে থাকে। গাড়ি থেকে বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। তিন তলা আবাসন কার্যত পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মৃত্যু হয় ৭ জনের। আহত হন বেশ কয়েকজন। পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অভিযুক্ত শুভমের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Jharkhand: জামশেদপুরে টাটা ইস্পাত কারখানায় ভয়াবহ আগুন, আহত অন্তত ৩ শ্রমিক