প্রায় পাঁচবছর ধরে থমকে আলোচনা। এবার সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল ভারত। ৬ দশকের পুরনো এই চুক্তিতে বদল চেয়ে এবার পাকিস্তানকে নোটিস পাঠাল ভারত সরকার।
স্বাধীনতার পর থেকেই এই সিন্ধু নদের জল ব্যবহার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে টানাপোড়েন চলছে। টানা ৬ বছর ধরে আলাপ আলোচনার পর ১৯৬০ সালে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নেহরু পাকিস্তানে গিয়ে করাচিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত করেন। চুক্তি মতে শতদ্রু, বিপাশা, রবি নদীর জল ব্যবহার করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ভারতের। সিন্ধু, ঝিলম ও চন্দ্রভাগার অধিকাংশ জলের ভাগ পেয়েছে পাকিস্তান। তবে ওই নদীগুলিতে শর্তসাপেক্ষে বাঁধ তৈরি করতে পারে ভারত (India)।
আরও পড়ুন: Netaji Subhas Chandra: এফবিতে নেতাজিকে ‘আতঙ্কবাদী’ সম্বোধন বিজেপি বিধায়কের
সেইমতো জম্মু-কাশ্মীরে ঝিলম নদীতে কিষেণগঙ্গা (Kishenganga) ও চন্দ্রভাগায় রাতলে (Ratle) জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তুলেছে ভারত। আর এতেই প্রবল আপত্তি ইসলামাবাদের। পড়শি দেশটির অভিযোগ, কিষেণগঙ্গা ও রাতলে প্রকল্পের নকশায় ত্রুটি রয়েছে। ফলে সিন্ধু জলচুক্তির শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে। বিষয়টি মেটাতে বিশ্ব ব্যাংকের কাছে সালিশি আদালত গড়ার আরজি জানায় পাকিস্তান। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞকে দিয়ে প্রকল্পের নকশা পরীক্ষা করানোর আর্জি জানায়।
কিন্তু ভারত এই চুক্তিতে তৃতীয় কারও হস্তক্ষেপ মেনে নিতে নারাজ। ভারত বরাবরই পাক সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে সরাসরি আলোচনা চায়। অথচ ২০১৭ সালের পর থেকে পাকিস্তান এ নিয়ে কোনওরকম আলোচনা করতে রাজি হচ্ছে না। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই ভারতের তরফে ‘পারমানেন্ট ইন্দাস কমিশন’ (Permanent Indus Commission) বা সিন্ধু জল কমিশনের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানকে নোটিস পাঠিয়েছে। ভারতের দাবি, ৯০ দিনের মধ্যে পাকিস্তান সরকার যাতে সরাসরি ভারতের সঙ্গে আলোচনায় আসতে পারে, সেকারণেই এই নোটিস দেওয়া হয়েছে। ভারতের আরও দাবি, সিন্ধু চুক্তির শর্ত মানছে না পাকিস্তান। তাই মূল চুক্তিতে পরিবর্তন করতে হবে।
আরও পড়ুন: Share Market Crash: Adani Group নিয়ে নেতিবাচক রিপোর্ট, পর পর দুদিন হু হু পড়ল সংস্থার শেয়ারের দাম