বাদল অধিবেশন শুরুর দিন সোমবার সংসদে শপথ নিলেন অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। সাংসদ হিসাবে শপথ নিয়েই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তুললেন সবার পরিচিত ‘বিহারীবাবু’। সাংসদ হিসাবে শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও ভোট দেন তিনি।
পরনে লাল চেক শার্ট, কালো জ্যাকেট, সঙ্গে কালো ট্রাউজার এবং চোখে সর্বক্ষণের সঙ্গী সানগ্লাস। একেবারে নায়কের মতোই সোমবার সংসদে ঢুকলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। যদিও অধিবেশন কক্ষে ঢোকার আগেই সানগ্লাসটি খুলে ফেলেন। এরপর তাঁকে শপথ পড়ান লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। হিন্দিতেই শপথ নেন শত্রুঘ্ন। আর তারপরই বলে ওঠেন – ‘জয় হিন্দ, জয় বাংলা’। শপথ নিতে মঞ্চে ওঠার পথে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান সনিয়া গান্ধী-সহ কংগ্রেস সাংসদরা। পাশাপাশি পুরনো সতীর্থ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির সঙ্গে যখন শত্রুঘ্নর দেখা হয়, তখন তাঁদের দু’জনের মধ্যে পারস্পরিক করমর্দনও হয়।
আরও পড়ুন: Monkeypox: এবার মাঙ্কিপক্সের থাবা দেশে, কেরলে সন্ধান মিলল প্রথম আক্রান্তের
আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দিয়ে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পরে ফাঁকা হয়েছিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র। সেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শত্রুঘ্ন সিনহা কে দলীয় প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংসদের অলিন্দ তাঁর কাছে নতুন নয়। এর আগেও অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে মন্ত্রিত্বের পদ সামলেছেন তিনি। তবে এবার তাঁর সংসদে কামব্যাক অন্যভাবে। এদিন বাংলায় ফেরা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ জানান, ‘আমাকে সবাই জানিয়েছেন। ওখানে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি চলছে। আমি খুব তাড়াতাড়ি বাংলায় ফিরব। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে উপস্থিত থাকব।’ উল্লেখ্য, গত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া জয় বাংলা স্লোগান খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।
আরও পড়ুন: President Election 2022: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটমূল্যে এগিয়ে কোন রাজ্য, বাংলার স্থান কত, জানুন