Jairam Ramesh slams Abhijit Gangopadhyay on Gandhi Nathuram remark

Abhijit Gangopadhyay গান্ধী খুনি নাথুরামের প্রতি অভিজিতের’প্রেমে’র কথা মনে করালেন জয়রাম

বিজেপি খুশি করত চেষ্টার কসুর করেননি কলকাতার হাইকোর্টের একদা বিচারপতি অভিজিৎ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।বিচারকের চেয়ারের বসে তিনি গেরুয়া ও লালপার্টির কর্মী সমর্থকদের ‘ভগবান’ হয়ে উঠেছিলেন।রাজনৈতিকভাবে ঘাসফুলের কাছে কুপোকাত  বঙ্গ হাত শিবিরও সেদিন কম মজা নেয়নি। কিন্তু সেসব এখন অতীত।ফলে এখন অভিজিৎকে খোঁচা দেওয়ায় যায়। কটাক্ষ শানালেন কংগ্রেসের জয়রাম। নির্বাচনের সময় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ বলেছিলেন, গান্ধী ও গডসের মধ্যে কাকে বেছে নেবেন তা বলতে পারেন না। এমনকী মহাত্মা গান্ধীকে কেন হত্যা করেছিলেন নাথুরাম গডসে, নেপথ্যে কী কারণ আছে, তা অনুসন্ধান করে দেখার প্রয়োজন আছে বলেও দাবি করেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ।

সে সময় বিজেপি প্রার্থীর এই মন্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তাঁর প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিও জানিয়েছিল বিরোধীরা। সাংসদদের শপথের আগে এবার সেই প্রসঙ্গই মনে করালেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ।ক্সে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কটাক্ষ করে জয়রাম লিখেছেন, “মনে রাখবেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যিনি মহাত্মা গান্ধী এবং তাঁর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে পারেননি। ঠিক আছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যখন সংসদে তমলুকের সাংসদ হিসাবে শপথ নেবেন তখন অ-জৈবিক (নন বায়োলজিক্যাল) প্রধানমন্ত্রী তাঁকে উৎসাহ জোগাবেন!”

আশির দশকে রিচার্ড অ্যাটেনবরোর ‘গান্ধী’ সিনেমা আসার আগে পর্যন্ত মহাত্মা গান্ধীর কার্যকলাপ সম্পর্কে বিশ্ববাসী অবহিত ছিলেন না! ভোট চলাকালীন সাক্ষাৎকারে একথা নিজে বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সংবাদমাধ্যমে ওই সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, ‘‘মহাত্মা গান্ধীর জীবন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক দর্শন নিয়ে তৈরি সিনেমার কারণেই বিশ্ব তাঁকে চিনতে পেরেছে। ভেবে দেখুন, স্বাধীনতা পরবর্তী পর্বে আমাদের দেশের কী দুর্দশা ছিল। মহাত্মা গান্ধীর জীবন নিয়ে যখন সিনেমা তৈরি হল, তখন বিশ্বের মানুষ তাঁর সম্পর্কে কৌতূহলী হলেন।’’ মোদীর দাবি, ভারতের স্বাধীনতার পরে আন্তর্জাতিক পরিচিতি পেতে গান্ধীর ৭৫ বছর লেগে গিয়েছে!