৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হবে। এমনটাই জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচন মিটলে জম্মু ও কাশ্মীরে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হবে।
শনিবার রাতে পিটিআইকে শাহ বলেন, ‘‘আমি সংসদেও বলেছি, কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেলে আমরা রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু করে দেব। অনগ্রসর শ্রেণিগুলির সমীক্ষা, বিধানসভা এবং লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে আসন পুনর্বিন্যাস বা ‘ডিলিমিটেশন’— সব আপাতত পরিকল্পনামাফিক চলছে। আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। তা না হলে শ্রেণি অনুযায়ী সংরক্ষণ দেওয়া সম্ভব হত না। কাশ্মীরে লোকসভা ভোটও হয়ে গিয়েছে। বাকি শুধু বিধানসভা ভোট, তা-ও হয়ে যাবে। সুপ্রিম কোর্ট যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, তার আগেই ওই প্রক্রিয়া আমরা শেষ করব।’’ উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করাতে হবে।
অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ভোটদানের হার খানিকটা বেশি। এনিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘মানুষে চিন্তাভাবনার বদল হচ্ছে। কিছু লোক বলে ভারতের সংবিধানের উপরে আস্থা নেই জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের। কিন্তু এই বারের নির্বাচন ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী হয়েছে। কারণ কাশ্মীরের সংবিধান বলে কিছু নেই। তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। যারা পাকিস্তান যেতে চান বা পৃথক একটি দেশ চান তারাও ঘরে থেকে বেরিয়ে এসে ভোট দিয়েছেন। এটা ভারতীয় সংবিধান ও নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরাট জয়।’
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব করার পাশাপাশি উপত্যকার পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে (Ladakh) নিয়ে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। কাশ্মীরকে যেভাবে পূর্ণ রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছিল, সেটা নিয়েও বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রকে। তার তিন বছর আগেই অবশ্য রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। এখনও পর্যন্ত সেখানে আর বিধানসভা ভোট হয়নি।
৩৭০ ধারা বাতিল সংক্রান্ত মামলায় গত গত ২৯ আগস্ট শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়ে দেয়, উপত্যকায় গণতন্ত্রের পুনরুত্থান জরুরি। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালের মধ্যে সেরাজ্যের নির্বাচন করাতে হবে। কতদিনে কাশ্মীরকে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব, সেটা স্পষ্ট করে জানাতে হবে কেন্দ্রকে। এখনও পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর কোনও সময়সীমা জানাতে পারেনি মোদী সরকার।