জম্মু-কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ফিগারে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল কনফারেন্স ৩৯টি আসনে এগিয়ে আছে। কংগ্রেস ৮টিতে। অন্যদিকে, বিজেপি ২৮, মেহবুবা মুফতির পিডিপি ৩টি, জেপিসি ২ এবং সিপিএম ও ডিপিএপি ১টি করে আসনে এগিয়ে আছে। নির্দল প্রার্থী ৮টি আসনে এগিয়ে।
এখনও পর্যন্ত এনসি-কংগ্রেস জোটের ঝুলিতে ৩৮ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ২৬.৭২ শতাংশ ভোট। পিডিপি পেয়েছে ৭.৮৯ শতাংশ ভোট। অন্য দলগুলির মোট ভোট শতাংশ ২৭ শতাংশ।জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম কেন্দ্রে এগিয়ে সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি। প্রসঙ্গত, সিপিএম এনসি-কংগ্রেস জোটের অন্যতম শরিক।
গান্ডেরবাল এবং বদগাম, দু’টি আসনেই এগিয়ে রয়েছেন এনসি নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। শ্রীগুফওয়াড়া-বিজবেহড়া আসনে পিছিয়ে পিডিপি নেত্রী তথা মেহবুবা মুফতির কন্যা ইলতিজা মুফতি। এখনও পূর্ণাঙ্গ ফলপ্রকাশ হয়নি। তবে তার আগেই পরাজয় স্বীকার করে নিলেন গণনার গোড়া থেকেই পিছিয়ে থাকা মেহবুবা মুফতির কন্যা ইলতিজা মুফতি।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পর প্রথম বিধানসভা ভোট হল সেখানে। ২০১৯ সালের অগস্টে অধ্যাদেশ জারি করে কেন্দ্র কাশ্মীরের অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহার করে। রাজ্যের তকমা হারায় কাশ্মীর। সাবেক জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে হয় দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর। তার পর দীর্ঘ দিন সেখানে নির্বাচিত সরকার ছিল না। সুপ্রিম কোর্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন করানোর জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়। নতুন সরকার তৈরি হওয়ার পর জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপালের ভূমিকা কী হবে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাজ্য মন্ত্রিসভার স্বাধীনতা কতটা থাকবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।