প্রতি বছর সাড়ে ৬ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ আড়াই ইঞ্চি করে তলিয়ে যাচ্ছিল জোশীমঠ (Joshimath)। সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে এই ভীতিপ্রদ ছবিটাই উঠে এসেছে। দেখা গিয়েছে গত ২ বছরে লাগাতার মাটিতে একটু একটু করে বসে গিয়েছে পাহাড়ি এই জনপদ। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত পাওয়া উপগ্রহ চিত্র খতিয়ে দেখেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।
দেহরাদূনের সরকারি সংস্থা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেন্সিং-এর সেই সমীক্ষার রিপোর্টে মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এনেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত উপগ্রহচিত্র বিশ্লেষণ করে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ রিমোট সেন্সিং-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে, ওই সময় জোশীমঠ ও আশপাশের এলাকার পাহাড়ে অনেক ফাটল দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তার পরেও কেন্দ্রীয় সংস্থা এনটিপিসির তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য সুরঙ্গ খোঁড়ার কাজ বন্ধ করা হয়নি। বন্ধ করা হয়নি পাহাড়ের অন্দরে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করার কাজ।
আরও পড়ুন: Madhya Pradesh : মধ্যপ্রদেশে মন্দিরের চূড়ায় ধাক্কা মারল বিমান, নিহত পাইলট
আর সেই সঙ্গেই তুলে দিয়েছে এক গুচ্ছ প্রশ্ন। নরেন্দ্র মোদীর সরকার সে দিন ওই সমীক্ষার প্রাথমিক ফল দেখে তৎপর হলে আজকের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হত না বলেও দাবি করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের চারধাম প্রকল্পে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির কাজও চলেছে সমান তালে। আর তারই পরিণতিতে আজ বিপর্যয়ের মুখে বদ্রীধামের প্রবেশদ্বার!
মঙ্গলবারই জোশীমঠের (Joshimath) একাধিক বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। এর মধ্যে রয়েছে দু’টি হোটেলও। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে প্রতিবাদও। একটি হোটেলের মালিক ঠাকুর সিং রানার কথায়, ”যদিও আমার হোটেলে কেবল আংশিক ফাটলই দেখা গিয়েছে, তবু জনস্বার্থে তা ভাঙা হলে আমার আপত্তি ছিল না। কিন্তু আমাদের অন্তত নোটিস তো দেওয়া উচিত ছিল।” পাশাপাশি তাঁদের দাবি, ক্ষতিপূরণের অঙ্কও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি তাঁদের।
আরও পড়ুন: Note Ban: টাকার ওপর লেখা থাকলেই বাতিল হবে নোট? কী বলেছে RBI