গত ২৩ ডিসেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট জামিন দিয়েছে সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে। কিত্নু তাতে কি ! এখন জেলেই কাটছে তাঁর দিন। জামিন পাওয়ার পর ৪০ দিন হয়ে গেল। মঙ্গলবার তাঁকে জেল থেকে ছাড়া হবে এমন আশা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন আইনজীবী। কিন্তু হতাশ হয়েই ফিরতে হয় তাঁদের। এলাহাবাদ হাই কোর্টের চেয়েও যোগী প্রশাসনের গেরুয়া ফিতের বাঁধন অনেক শক্তিশালী তা সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান তো বুঝছেনই, সঙ্গে বুঝছে তামাম দেশ।
উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণের পরে পুড়িয়ে মেরেছিল দুষ্কৃতীরা। গোটা দেশই ওই ন্যক্কারজনক ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল। ওই বছরের অক্টোবরে সংবাদ সংগ্রহের জন্য হাথরসে যাওয়ার পথে কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে গ্রেফতার করে যোগী রাজ্যের পুলিশ। মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়ায় ইউএপিএ-সহ একাধিক কঠোর ধারায় মামলা দায়ের করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
উত্তরপ্রদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ধৃত সাংবাদিক কাপ্পান নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সদস্য। শুধু উত্তরপ্রদেশ পুলিশ নয়, কাপ্পানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। তার পর থেকে জেলই ঠিকানা কাপ্পানের। নিম্ন আদালতে একাধিকবার জামিনের আর্জি খারিজ হওয়ার পরে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন কাপ্পান।গত ৯ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট কেরলের সাংবাদিককে অন্য সমস্ত মামলায় জামিন দেয়। ২৩ ডিসেম্বর ইডির দায়ের করা আর্থিক তছরুপের মামলায় কাপ্পানের জামিন মঞ্জুর করেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ কুমার সিংহ।