Justice Sanjiv Khanna: Key Judgments Of Justice Sanjeev Khanna, In Line To Be Next Chief Justice

Justice Sanjiv Khanna: সাম্প্রতিক সময়ে দিয়েছেন বহু গুরুত্বপূর্ণ রায়, চিনে নিন দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতিকে

অবসরগ্রহণের আগে নিয়ম মেনে নিজের উত্তরসূরি হিসেবে বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নাম সুপারিশ করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী ১১ নভেম্বর অবসরগ্রহণ করবেন তিনি। উত্তরসূচি হিসেবে বিচারপতি খান্নাকে বেছে নিয়েছেন। যদি কেন্দ্র অনুমোদন দেয়, তাহলে ভারতের ৫১ তম প্রধান বিচারপতি হবেন বিচারপতি খান্না। ২০২৫ সালের ১৩ মে পর্যন্ত সেই পদে থাকবেন।

১৯৮৩ সালে আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন বিচারপতি খান্না। প্রাথমিকভাবে তিনি প্র্যাকটিস শুরু করেন দিল্লির তিস হাজারি কোর্টে। কিছুদিন পরই তিনি প্র্যাকটিস শুরু করেন দিল্লি হাই কোর্টে। এর মধ্যে আয়কর বিভাগ এবং দিল্লি সরকারের আইনজীবী হিসাবে কাজ করেন। ২০০৫ সালে দিল্লি হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন বিচারপতি খান্না। ২০০৬ সালে দিল্লি হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি পদে উন্নীত হন তিনি।

কোনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হওয়ার আগেই ২০১৯ সালে ১৮ জানুয়ারি তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। বিচারপতি খান্না বর্তমানে ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিসেস অথরিটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এবং ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্য। ২০২৩ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি খান্না।

বিতর্কিত সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে সবুজ সংকেত দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি খান্না। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সেই সাংবিধানিক বেঞ্চেরও অন্যতম সদস্য ছিলেন, যে বেঞ্চ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছিল। আবার নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা বেঞ্চেরও অন্যতম সদস্য ছিলেন বিচারপতি খান্না।

আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি খান্না। লোকসভা নির্বাচনের সময় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি খান্না। রায় দিয়েছিলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় যদি দেরি হয়, তাহলে সেটা আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের (PMLA) আওতায় জামিন মঞ্জুরের বৈধ কারণ হতে পারে।