লোকসভা নির্বাচনের আগেই একের পর এক ধাক্কার মুখে কংগ্রেস। দল ছাড়ছেন বড় বড় নেতারা। সম্প্রতিই দল ছেড়েছেন মিলিন্দ দেওরা থেকে শুরু করে অশোক চোহান, বাবা সিদ্দিকি থেকে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি প্রভাকর শাস্ত্রী। এবার আরও বড় ধাক্কা খেতে চলেছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন মধ্য় প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ নেতা কমল নাথ। আজই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিতে পারেন তিনি। যোগ দেবেন বিজেপিতে।
একা কমল নাথ নন, তাঁর ছেলে নকুল নাথও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। শনিবার বিকেলেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন কমল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশের ১২ জন কংগ্রেস বিধায়কও তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।
ঘটনাচক্রে, শুক্রবারই মধ্যপ্রদেশ বিজেপির সভাপতি বিডি শর্মা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে বেশ কয়েক জন নেতা তাঁদের দলে যোগ দিতে পারেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিজেপিতে কেউ আসতে চাইলে আমরা স্বাগত জানাব।’’ গত এক সপ্তাহে মধ্যপ্রদেশে দীনেশ আহিরওয়ার, রাকেশ কাটারের মতো প্রভাবশালী নেতার দল ছেড়েছেন। কমল দল ছাড়লে লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের কাছে তা বড় ধাক্কা হবে নিশ্চিত ভাবেই।
কমলের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা তৈরি হতেই বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বোন তথা দলের আইটি সেলের অন্যতম সদস্য অদিতি গায়েন এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘‘বহু পুরনো কংগ্রেস মানেই নতুন বিজেপি।’’
এদিকে, গতকালই এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের আরেক প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং জানান, কমল নাথের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি নেহরু-গান্ধী পরিবারের হাত ধরে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, তিনি কংগ্রেস ছেড়ে দেবেন, এটা কী করে আশা করা যায়? এরকম কিছু আশা করাই উচিত নয়।”