বিতর্কিত মন্তব্য করে দিল্লির ‘বস’দের খুশি রেখে লাইম লাইটে থাকতে চান কঙ্গনা রানাওয়াত । এবারও তিনি লাইম লাইটে। কিন্তু এবারের খবর তাঁর জন্য মোটেও সুখকর নয়। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার দেড় মাসেই মধ্যেই বিপত্তি নেমে এল অভিনেত্রীর জীবনে। সংশয় তৈরি হল তাঁর সাংসদ পদ নিয়ে। হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্ট বুধবার কঙ্গনাকে নোটিস পাঠিয়েছে। নিজের জয় নিয়েই এবার কঙ্গনা পেলেন হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের নোটিস! তবে কি সাংসদ পদ খোয়াতে চলেছেন হিমাচলের কন্যা কঙ্গনা, শুরু হয়েছে সেই নিয়ে জল্পনা।
হিমাচলের কিন্নর জেলার এক বাসিন্দা, লায়ক রাম নেগি কঙ্গনার নির্বাচন বাতিল করার আবেদন করেছেন আদালতে। তাঁর অভিযোগ, তিনি মান্ডি আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনে, কিন্তু তাঁর মনোনয়নপত্র ‘অন্যায়ভাবে’ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। তাঁর কাগজপত্র গ্রহণ করা হলে তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারতেন বলে আদালতে জানান নেগি । সেই দাবি মোতাবেক নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আবেদনে রিটার্নিং অফিসারকেও পার্টি করেছেন নেগি। তিনি দাবি করেছেন, কঙ্গনার নির্বাচনও বাতিল করা হোক। আদালত তাঁর কথা শোনার পরে কঙ্গনাকে নোটিস পাঠিয়েছে । বিচারপতি জ্যোৎস্না রাওয়াল ২১ অগস্টের মধ্যে কঙ্গনাকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মান্ডি লোকসভা আসন থেকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তথা কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিংকে হারিয়ে জয়ী হন কঙ্গনা। মান্ডি লোকসভা আসনে ৭৪ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হন তিনি। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হিমাচলের ছ’বারের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বীরভদ্র সিংহের পুত্র তথা সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য। হিমাচল হাই কোর্টে নেগি জানিয়েছেন, নিয়ম মতো রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসকের কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। নিয়ম অনুযায়ী বন বিভাগের ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’-ও জমা দিয়েছিলেন। এর পর তাঁকে বিদ্যুৎ, জল ও টেলিফোন বিভাগের ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’-ও দাখিল করতে বলেন রিটার্নিং অফিসার। তাও মাত্র একদিনের মধ্যে জমা দিয়েছিলেন। যদিও এত কিছুর পরেও তাঁর মনোনয়নপত্র ‘অন্যায়ভাবে’ বাতিল করা হয়। ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’ জমা করতে তাঁকে মাত্র একদিন সময় দেওয়া হয়েছিল । তবে একদিনের মধ্যেই সেগুলিও তিনি জোগাড় করে জমা দিয়েছিলেন। লায়ক রাম নেগির অভিযোগ, তারপরেও রিটার্নিং অফিসার সেগুলি গ্রহণ করেননি।