কর্নাটক ভোটের আগে আরও অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির। বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে শাসক দলের এক বিধায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল নগদ প্রায় ৬ কোটি টাকা। অফিস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও প্রায় ২ কোটি টাকা নগদ। উদ্ধার হওয়া অর্থের কোনও হিসেব দিতে পারেননি ওই বিজেপি বিধায়ক মাদ্দাল ভিরুপক্ষপ্পা। কর্নাটক প্রশাসনের তরফে শুক্রবার সকালে একটি বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। এ-ও জানানো হয়েছে যে, ওই বাড়িতে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
বৃহস্পতিবার নগদ ৪০ লক্ষ টাকা নিতে গিয়ে ধরেন ওই বিজেপি বিধায়কের ছেলেকে। ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন বিধায়কের ছেলে প্রশান্ত মাদ্দাল। বেঙ্গালুরুর জনবণ্টন এবং নিকাশি সংস্থার মুখ্য হিসাবরক্ষক হিসাবে ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তাঁর অফিস থেকে টাকা ভর্তি ৩টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। কর্নাটক লোকায়ুক্তের এক আধিকারিক জানান, তাঁর অফিস থেকে বৃহস্পতিবারই ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তারপরই তার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিধায়কপুত্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পরই ফাঁদ পাতেন তদন্তকারীরা। পরিচয় গোপন করা জনৈক তদন্তকারীর সামনে ঘুষ চাইতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তের বাবা মাদলও রাজ্যের প্রভাবশালী বিধায়ক। কর্নাটক সরকারের অধীনস্ত ‘কর্নাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্ট’ সংস্থার চেয়ারম্যান তিনি।
বিজেপির সততার ‘এজেন্ট’ নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনায় কি প্রতিক্রিয়া দেন সেদিকে তাকিয়ে আছে অনেকেই। তিনি হয়তো এক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীকেই আক্রমন করবেন। হয়ত ফের বলবেন রাহুল কেন নেহেরুর পদবি ব্যবহার করেন না ? রাহুলের দাদুর নাম ছিল ফিরোজ জাহাঙ্গীর গান্ধী। সেই হিসাবে রাহুলের গান্ধী পদবী ব্যবহার যথাযথ। কোন যুক্তিতে তিনি নেহেরুর পদবি ব্যবহার করবেন একথা প্রধানমন্ত্রী মোদীই একমাত্র বলতে পারেন। অথবা তাঁর স্ক্রিপ্ট রাইটার। কেউ কেউ বলছেন রাহুল আদানি কোম্পানিকে নিয়ে যে প্রশ্নগুলি তুলেছেন তার জবাব দেওয়ার ক্ষমতা নেই মোদির। তাই আত্মরক্ষার্থে তিনি কুৎসা করার চেষ্টা করছেন। কুৎসার কোনো যুক্তি হয় না।