অবশেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে আজ দুপুর ১২টা নাগাদ কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা করা হল কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম। দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল জানিয়ে দেন যে সিদ্দারামাইয়া আগামী শনিবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন। তাঁর ডেপুটি হিসেবে সেদিন শপথ নেবেন কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত শিবকুমার কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিও থাকবেন বলে জানানো হয়।
না রাহুল গান্ধি, না মল্লিকার্জুন খাড়্গে৷ কারও কথাতেই চিড়ে ভিজল না৷ শেষমেশ হস্তক্ষেপ করতেই হল প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধিকে৷ গত বুধবার রাতের দিকে সনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পরেই কাটল ডেডলক৷ এই দফা উপ মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে রাজি হয়েছেন ডি কে শিবকুমার৷
ডি কে শিবকুমারের ভাই ডি কে সুরেশ জানিয়েছেন, কর্ণাটকের স্বার্থেই কংগ্রেস নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কিন্তু, এই সিদ্ধান্তে তাঁরা খুশি নন৷
২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় এ বার ১৩৫টি জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। সহযোগী ‘সর্বোদয় কর্নাটক পক্ষ’ জিতেছে ১ আসনে। রবিবার নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়নের ভার দেওয়া হয় খড়্গেকে। পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডের নেতৃত্বে ৩ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে বিধায়কদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে আলোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁদের ‘পছন্দ’ জানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক সিদ্দাকেই মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন বলে এআইসিসির একটি সূত্র জানাচ্ছে।