Karnataka teacher booked over remarks about PM Modi and Lord Ram, school sacks her

Karnataka: মহাভারত-রামায়ণকে ‘কাল্পনিক’ বলার অপরাধ, চাকরি হারালেন শিক্ষিকা

রাম কাল্পনিক চরিত্র, রামায়ণ-মহাভারত কল্পকাহিনি, কবির লেখা মহাকাব্য। স্কুলে পড়ানোর সময় এমন মন্তব্য করেছিলেন। এই ‘অপরাধে’ বরখাস্ত হলেন কর্নাটকের (Karnataka) একজন শিক্ষিকা। স্থানীয় বিজেপি সাংসদ এবং একটি হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর লাগাতার বিক্ষোভের জেরে চাকরি খোয়াতে হল শিক্ষিকাকে।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়ানোর সময়ে ওই শিক্ষিকা মন্তব্য করেন, মহাভারত এবং রামায়ণ ‘কাল্পনিক কাহিনি’। ছাত্র-ছাত্রীদের তিনি রাম এক ‘পৌরাণিক চরিত্র’ বলেছিলেন বলে জানান অভিভাবকেরাও। এরপরই ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্তের দাবিতে স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভের পরেই ওই শিক্ষকাকে বরখাস্ত করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। বিতর্কের মুখে বিবৃতি দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গোটা ঘটনা ‘অনভিপ্রেত’। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, রামায়ণ-মহাভারতকে ‘কল্পকাহিনি’ বলার পাশাপাশি মোদির নামে কুৎসা করেছেন শিক্ষিকা। মোদিকে নিন্দা করতে ২০০২ সালের গোধরা দাঙ্গা, বিলকিস বানো মামলার প্রসঙ্গ টানেন। “শিশুদের মনে ঘৃণার অনুভূতি জাগিয়েছেন” তিনিই।

স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক বেদ্যস কামাথের বক্তব্য, “স্কুলে এমন শিক্ষককে রাখা হবে কেন?” অভিযোগ করেন, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রীদের সিস্টাররা টিপ পরতে বারণ করেন।”… ভগবান রামকে দুধ দিয়ে স্নান করানোকে অপচয় বলেন। যদি আপনার বিশ্বাসে কেউ আঘাত করে, নিশ্চিয়ই চুপ করে থাকবেন না।” বিধায়ক সরব হতেই ঘটনার তদন্তে নামে ডেপুটি ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন (DDPI)। বরখাস্ত করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে। এক বিবৃতিতে স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, “৬০ বছরের পুরনো স্কুলে এমন ঘটনা প্রথমবার ঘটেছে। পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে তোলাই লক্ষ্য।” এদিকে বিজেপি বিধায়কের রোষে শিক্ষিকার বরখাস্ত হওয়ার ঘটনায় ‘ধর্ম নিরেপক্ষ’ কংগ্রেস সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।