আগামী জুলাই মাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে বিজেপিকে গোহারা করতে চায় দেশের তামাম বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এই বিষয়ে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও মনে করেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র হাতে নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার মতো ভোটব্যাঙ্ক নেই। তাই বিরোধীরা সবাই একজোট হয়ে প্রার্থী দিলে বিজেপির মুখে ঝামা ঘষে দেওয়া যাবে। তাই বিরোধীদের নিয়ে একটি মঞ্চ গড়ে তুলতে আগ্রহী তিনি। এই কারণে এপ্রিল মাসের শেষে অবিজেপি শাসিত রাজ্যে আসছেন তিনি। দেখা করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বলে সূত্রের খবর।
কে চন্দ্রশেখর রাও (KCR) মনে করেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র হাতে নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার মতো ভোট নেই। এই সুযোগে বিরোধীরা সবাই মিলে প্রার্থী দিলে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দেওয়া যাবে। আর এই কাজে বিরোধীদের বোঝাপড়া গড়ে তুলতে আগ্রহী তিনি। এ মাসের শেষে কয়েকটি অবিজেপি শাসিত রাজ্যে যাবেন তিনি। তালিকায় উপরের দিকেই আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ।
কেসিআরের বিরোধী শিবির এবং তাঁর রাজনৈতিক কৌশল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল অনেকের মতে, এটা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর একটি চাল। তিনি আসলে ছেলেকে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে গা ভাসাতে চান। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে চান্স নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাতে ব্যর্থ হলে ২০২৪-এ বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন: Cooking Oil Price: মধ্যবিত্তের জন্য বড় স্বস্তি! দাম কমল সরষের তেলের
তবে এটা ঘটনা যে রাষ্ট্রপতি প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে বিজেপি তথা এনডিএ-কে এবার যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। এখনও যদিও স্পষ্ট নয় যে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা তাঁদের রাজনৈতিক সতীর্থ উপ রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নায়ডুকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করবেন কিনা। বিজেপির একাংশ কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে রাষ্ট্রপতি করার পক্ষে। যেমন অটল বিহারী বাজপেয়ির সময় এপিজে আবদুল কালামকে করা হয়েছিল।
ওদিকে, এনডিএ-র সবচেয়ে বড় শরিক জনতা দল ইউনাইটেড চাইছে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী এবার শরিক দল থেকে করা হোক। তাদের প্রার্থী বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। নীতীশকে নিয়ে বিজেপির অন্দরে আপত্তি দুটি কারণে। প্রথমত, তিনি ডিগবাজি খেতে ওস্তাদ। দুই, তাঁর মতো পুরোদস্তুর রাজনীতিককে রাষ্ট্রপতি করলে সরকারের সঙ্গে বিরোধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিজেপির একটি মহলের বক্তব্য, এবারও কোনও দলিতকেই রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করা হবে। কারণ, বিজেপি উচ্চবর্ণের পার্টি, এই ধারণা পুরোপুরি মুছে না যাওয়া পর্যন্ত দল এই সম্প্রদায়ের মানুষকে তুলে ধরবে।
আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর! সোপিয়ানে সেনার গুলিতে নিহত ৪ জঙ্গি, গাড়ি উলটে নিহত দুই জওয়ান