Kejeiwal decides to resign from delhi CM post

Kejriwal: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন কেজরিওয়াল

দিল্লির রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলমুক্তির পরই বড়সড় সিদ্ধান্ত আপ সুপ্রিমোর। দিল্লির জনসভা থেকে তাঁর ঘোষণা, “দুদিন বাদেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ব। জনতার রায়ে জিতে আসার আগে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না।”

পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করে কেজরিওয়াল বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ওরা। এখন বলছে শর্তসাপেক্ষে জামিন মিলেছে। আইনজীবীরা জানালেন, আরও ১০, ১৫ বা ২০ বছর মামলা চলতে পারে।  তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মানুষের রায়ে জয়ী না হলে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসব না আমি। মণীশ সিসৌদিয়াও কোনও পদে থাকবেন না। আমাদের ভাগ্য ভোটারদের হাতে ছাড়লাম।”

এদিন দিল্লিতে আম আদমি পার্টির কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তৃতা করেন তিনি। আর ওই বক্তৃতায় আগাগোড়া বিজেপি-কে আক্রমণ করে যান। কেজরিওয়াল বলেন, “জেল থেকে লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে একটি চিঠি  লিখেছিলাম। স্বাধীনতা দিবসে অতীশীকে পতাকা উত্তোলন করতে দেওয়ার অনুমোদন চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে বলা হল, আর একটিও চিঠি লিখলে, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না। ইংরেজরাও এমন আচরণ করেনি।” (Arvind Kejriwal Resignation)

দু’দিন আগেই দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অবশেষে মুক্তি পান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর আগে ইডির করা মামলায় কেজরিওয়াল জামিন পেতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে আজ শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে কেজরিওয়ালকে। তবে বেশ কয়েকটি শর্তে কেজরিকে। তিনি কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না বলে কেজরিওয়ালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে নিজের দফতরেও যেতে পারবেন না। এছাড়া, আগবারি মামলা সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, মাঝে লোকসভা নির্বাচনের সময় দলের হয়ে প্রচার করার জন্যে জামিন দেওয়া হয়েছিল কেজরিকে। পরে ফের তিহাড় জেলে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি।