মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করছিলেন মোদী। সেখানে তিনি নানা কথা বলেন। যেমনটা বলে থাকেন। উঠে আসে পেট্রল ডিজেলের দামের প্রসঙ্গ। তিনি ক্ষমতায় এলে যার দাম কমিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন। দাম কামানো তো দূর। নিকট দামের ঠেলায় ঘর গেরুয়াবাদীও অস্থির। কিন্তু অসুবিধা নেই । বদলে তাদের দেওয়া হয়েছে রামনবমী ও হনুমনা জয়ন্তী উজ্জাপনের উন্মাদনা। সব ঠিক আছে বস।
মোদী আসলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির এই দায় চাপাতে চেয়েছেন বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ঘাড়ে । তিনি বলেছেন , এই রাজ্যগুলি যদি ভ্যাট কমিয়ে দেয় তাহলেই জ্বালানি তেলের দাম কমে। বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিন সরকারগুলি নাকি তা করেছে। বিরোধীদের বক্তব্য হল ডবল ইঞ্জিনদের বেশি টাকা দেয় কেন্দ্র। যায় হোক মোদী যখন মিটিং করছিলেন, তখন আড়মোড়া ভাঙতে দেখা যায় কেজরিওয়ালকে। আর যাই কোথা !বিজেপির নেতাদের চোখে এটা তো গর্হিত অপরাধ। প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণে আড়মোড়া ভাঙা ! এ যে মেনে নেওয়া যায় না।
বুধবার দিনভর চলে চর্চা।বৃহস্পতিবারও টুইটারে ট্রেন্ড করানো হয়েছে Mannerless CM । দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র নবীন কুমার জিন্দালও নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে। ভিডিওটি শেয়ার করে তিনি বলেছেন “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন কোভিডের প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অ্যাকশন দেখুন। আমি জানি না তিনি কী সহবত পেয়েছেন, এই মানুষের প্রধানমন্ত্রীর সামনে বসার বা কথা বলার কোনও ম্যানার্স নেই । কী নির্লজ্জ মানুষ।”আরেক বিজেপি নেতা, তাজিন্দর পাল সিং বাগ্গাও বলেছেন কেউ একজন অন্তত কেজরিওয়ালকে কিছু শিষ্টাচার শেখান।