আগামী ২৪ এপ্রিল কেরল সফরে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ওই দিনই তিরুঅনন্তপুরম থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করতে পারেন তিনি। তার আগেই মোদীর বিরুদ্ধে হুমকি চিঠি এল খাস বিজেপি কার্যালয়ে। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সে রাজ্যের বাম সরকার। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিও চিঠির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্যের কাছে।
কেরলের বিজেপি প্রধান কে সুরেন্দ্রন গত সপ্তাহে একটি চিঠি পান। সেটা পাঠিয়েছিল এরনাকুলামের বাসিন্দা জোসেফ জন নাদুমুত্তাথিল। সেই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মোদীর কেরল সফরকালে তাঁর উপর আত্মঘাতী বোমা হামলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তারপরই বিজেপির অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মোদীর সফর নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন বিজেপি। চিঠি পাওয়ার পরই কে সুরেন্দ্রন তা ডিজিপি অনিল কান্তকে দেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চিঠির সত্যতা ও উৎস যাচাই করে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ওই চিঠির প্রেরক জোসেফ জনকে পুলিশ শনাক্ত করেছে। যদিও তাঁর দাবি, তিনি এমন কোনও চিঠি লেখেননি। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Sand Mafia: তল্লাশি করতে যাওয়া মহিলা ইনস্পেক্টরকে বেধড়ক মার, হিঁচড়ে নিয়ে গেল বালি মাফিয়ারা
রোডশোতে অংশ নিতে ২৪ এপ্রিল কোচিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর। প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিনই একটি কর্মী সভায় ভাষণ দেবেন এবং রাজ্যেরত নয়টি বিভিন্ন চার্চের শীর্ষ প্রধানদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেবেন। ২৫শে এপ্রিল, প্রধানমন্ত্রী মোদী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করতে তিরুবনন্তপুরমে পৌঁছাবেন এবং তারপরে তিনি কেন্দ্রীয় স্টেডিয়াম থেকে আরও কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এরপর গুজরাট সফরে যাবেন।
অন্য দিকে, কেরল পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য যে মহড়া দেওয়া হয়েছিল, তার একাংশ ফাঁস হয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে রাজ্য বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরন বলেন, রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। কী করে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ওই সার্কুলার ফাঁস হয়ে গেল, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, সাত দিন হয়ে গেল ওই হুমকি-চিঠি নিয়ে কেরল সরকার কোনও তদন্তই করল না।