কলাইকুণ্ডা এয়ারবেসে বায়ুসেনার প্রশিক্ষণ চলাকালীন খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত মুরকুনিয়া গ্রামে ভেঙে পড়ল যুদ্ধবিমান। প্যারাসুটের মাধ্যমে নেমে প্রাণে বাঁচেন এয়ার ফোর্সের দুই পাইলট।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়গপুর থানার অন্তর্গত দিয়াসা এলাকায় একটি ধান জমিতে ভেঙে পড়ে হক প্রশিক্ষক বিমানটি। ঘটনার জেরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় এলাকায়। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই কলাইকুন্ডা বায়ুসেনাঘাঁটির আধিকারিকরা হেলিকপ্টারে করে পৌঁছন। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা জানতে তদন্ত কমিটি তৈরি করছে সেনা।
এক্স হ্যান্ডলে ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে, ‘ভারতীয় বায়ুসেনার একটি হক ১৩২ প্রশিক্ষণ বিমান আজ (মঙ্গলবার) পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুণ্ডায় প্রশিক্ষণের সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। দুই পাইলটই নিরাপদে বার হয়ে যান। দুর্ঘটনার কারণ জানতে একটি ‘কোর্ট অব ইনকোয়ারি’ গঠন করা হয়েছে। প্রাণহানি বা আসামরিক সম্পত্তির কোনও ক্ষতি হয়নি।” কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। সম্পত্তিও নষ্ট হয়নি।
One Hawk trainer aircraft of the Indian Air Force met with an accident at Kalaikunda, West Bengal today during a training sortie. Both the pilots ejected safely.
A Court of Inquiry has been constituted to find out the cause of the accident. No loss of life or damage to civilian…— Indian Air Force (@IAF_MCC) February 13, 2024
যে বিমানটি খড়্গপুরে ভেঙে পড়েছে, সেটি ‘হক ট্রেনিং এয়ারক্রাফ্ট’ বলে জানা গিয়েছে। এটি সুপারসনিক যুদ্ধবিমান। ব্রিটিশ সংস্থার তৈরি ওই বিমান ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজেও ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে, সোমবার সাঁকরাইল ব্লকের কেশিয়াপাতা এলাকার পেঁচাবিদা ও চেমটিডাঙা গ্রামের পিচ রাস্তার পাশে দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ধানজমিতে একটি বোমা পড়ে। কেঁপে ওঠে চারিদিক। তীব্র শব্দ শুনে গ্রামবাসীরা ভিড় জমান। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সকলকে আসতে বাধা দেয় তারা। বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার তাদের মহড়া চলছিল। ফায়ারিং রেঞ্জ অনেকটা বড়। যেখানে বোমটি পড়েছে সেটি ফায়ারিং রেঞ্জের মধ্যেই। তাই হতাহত হননি কেউ। তবে, গ্রামবাসীদের অনেকের ধান পুড়ে যায়। এই ঘটনার পরের দিনই খড়্গপুরের ধানক্ষেতে ভেঙে পড়ল আস্ত যুদ্ধবিমান।