মহিলা এবং শিশু নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশের আদিত্যনাথ সরকার। দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে। বুধবার বিকেলে উদ্ধার হয় ওই দুই নাবালিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ। একটি গাছ থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা দলিত পরিবারের সদস্য। খবর পেয়ে নিঘাসন থানার পুলিশ তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মৃতদেহগুলিকে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
লখিমপুর খেরির পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট সঞ্জীব সুমন জানিয়েছেন, গত রাত থেকে অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে নেমে বেশ কিছু তথ্য় এসেছে পুলিশের হাতে। জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দু’জন মৃত দলিত নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে তারা স্বীকার করে নিয়েছে, ওই দুই দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে তারা।সুমন জানিয়েছেন, এই দুই ব্যক্তির প্ররোচনায় বুধবার সন্ধেবেলায় নিজেদের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই দু’জন স্বীকার করেছে, তারা নাবালিকাদের ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করেছে।’ ৬ জনের মধ্যে দু’জন ধর্ষণ করে খুন করেছে নাবালিকাদের। সেখানে আরও দু’জন মৃতদেহ দুটিকে ওড়না দিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিতে সাহায্য করেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে নিশ্চিত করা হয়েছে, নাবালিকাদের ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অরুণ কুমার সিং জানিয়েছেন, নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুনের জন্য), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত দেওয়ার জন্য), ৪৫২ (অবৈধভাবে গৃহে অনুপ্রবেশের জন্য) এবং ৩৭৬ (ধর্ষণের জন্য) ধারার অধীনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (POCSO) আইনের ৩ এবং ৪ ধারার অধীনেও মামলা রুজু হয়েছে।