দুই ভিন্নধর্মী যুগল লিভ-ইনে ছিলেন। কিন্তু পারিবারিক এবং সামাজিক বাধা আসে। এমনকি, তরুণীর পরিবারের তরফে যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সুরক্ষা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দু’জন। কিন্তু এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চাইল না ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্ট লিভ-ইন সম্পর্ককে উৎসাহ দেয় না।
সম্প্রতি লিভ ইন সম্পর্কে থাকা কিরণ রাওয়াত ও আনোয়ার পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পুলিশের তরফে ক্রমাগত তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে হাইকোর্টে অভিযোগ জানান তাঁরা।বিচারপতি সঙ্গীতা চন্দ্র ও নরেন্দ্র কুমার জোহারির ডিভিশন বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, দেশের শীর্ষ আদালত লিভইন সম্পর্ককে সামাজিক বাস্তবতা হিসেবে মেনে নিয়েছে। কিন্তু এই সম্পর্ক এখনও বিবাহিত সম্পর্কের মতো গুরুত্ব পায়নি ভারতীয় আইনে। ফলে ওই দুই সঙ্গীকে আদালত নিরাপত্তা দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: Black Friday: শেয়ার কারচুপি নিয়ে মার্কিন মুলুকে তদন্ত শুরু হতেই ভরাডুবি আদানি গোষ্ঠীর
হাই কোর্ট জানতে পারে ওই যুগলের সম্পর্কে মেয়েটির পরিবারের মত নেই। তাঁর মা যুবকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছেন। অন্য দিকে, যুগলের দাবি, তাঁরা দু’জনে প্রাপ্তবয়স্ক। এক জনের বয়স ৩০ এবং অন্য জনের বয়স ২৯ বছর। একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত তাঁদের নিজেদের। কিন্তু তার পরও পুলিশ তাঁদের হেনস্থা করছে।
আদালত দুই পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব শোনার পর মন্তব্য করে, মামলাকারীরা দাবি করেননি যে তাঁরা বিবাহিত। তাঁরা বৈবাহিক সম্পর্ক সুরক্ষিত রাখার আবেদন করেননি। তাঁরা দাবি করছেন যে, প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে নিজেদের পছন্দমতো মানুষের সঙ্গে থাকার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশ নেই। এর পর আদালতের মন্তব্য, ‘‘তাছাড়া মুসলমান ধর্মে বিয়ের আগে যৌনতা, চুম্বন, শারীরিক স্পর্শ নিষিদ্ধ। বিয়ের আগে এগুলো করা মুসলমান ধর্মে ‘হারাম’ (নিষিদ্ধ)। কোরানে এ বিষয়ে উল্লেখ আছে।’’
শেষে হাই কোর্ট বলে চাইলে এ নিয়ে পাল্টা এফআইআর করতে পারেন মামলাকারী যুগল। এ নিয়ে রিট পিটিশন গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: Himachal Pradesh: বৃষ্টি-ধস-হড়পা বানে বিপর্যস্ত হিমাচলে মৃত ৬, মান্ডি-কুলু জাতীয় সড়কে ধস