অবশেষে দ্বিতীয় আসনে লড়াই করছেন রাহুল গান্ধী। তবে তাঁর পুরনো কেন্দ্র অমেঠি নয়, শুক্রবার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল মনোনয়ন পেশ করবেন রায়বেরলি আসনে। সেখানকার সদ্য প্রাক্তন সাংসদ সনিয়া গান্ধী এখন রাজ্যসভার সদস্য। ২৫ বছর পর এবার অমেঠিতে গান্ধী পরিবারের কেউ প্রার্থী হলেন না। শুক্রবারই মনোনয়নপত্র পেশ করার শেষ দিন।
অমেঠির সঙ্গে গান্ধী পরিবারের চার সদস্যের নাম যুক্ত। ১৯৮০-তে সঞ্জয় গান্ধী, ১৯৮৪ ও ১৯৮৯-এ রাজীব, ১৯৯৮-এ সনিয়া এবং ২০০৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন রাহুল। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আমেঠিতে স্মৃতি ইরানির কাছে ৫৫ হাজার ভোটে হারেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। জল্পনা ছিল, এবার (Lok Sabha 2024) রাহুল ফিরতে পারেন আমেঠিতে। জল্পনা ছিল, ওয়ানড়ের ভোট মিটতেই আমেঠির প্রার্থী হিসাবে রাহুলের নাম ঘোষণা করা হবে। কিন্তু উনিশের হারের ‘স্মৃতি’ সম্ভবত এখনও তাড়া করছে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে। সেকারণেই আমেঠি থেকে না দাঁড়িয়ে তিনি প্রার্থী হলেন মায়ের ছেড়ে আসা আসন রায়বরেলি থেকে।
শুক্রবার সকালে রাহুলের পুরনো কেন্দ্র অমেঠিতেও দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। সেখানে গান্ধী পরিবারের ‘আস্থাভাজন’ কিশোরীলাল শর্মাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় ভোট অমেঠি এবং রায়বরেলিতে। শুক্রবারই ছিল এই দুই কেন্দ্রের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। তাই প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার দিনই মনোনয়ন পেশ করতে হবে রাহুল এবং কিশোরীলালকে।
রায়বরেলিই উত্তরপ্রদেশের একমাত্র আসন যেখানে ২০১৯-এ জিতেছিল হাত শিবির। সেখানে সোনিয়া গান্ধী জয়ী হলেও এবার বয়সের কারণে প্রার্থী হবেন না তিনি। তিনি চলে গিয়েছেন রাজ্যসভায়। দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা, মায়ের ছেড়ে আসা আসনে প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা এবার লোকসভার লড়াইয়ে নামতে রাজি হননি। তাঁর যুক্তি, সোনিয়া গান্ধী ইতিমধ্যেই রাজ্যসভায়। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তিনিও প্রার্থী হলে বা জিতে সংসদে গেলে কংগ্রেস থেকে গান্ধী পরিবারেরই তিনজন সাংসদ হয়ে যাবেন। ফলে বিজেপির পক্ষে পরিবারতন্ত্র নিয়ে আঙুল তোলা সহজ হয়ে যাবে। আবার উত্তরপ্রদেশের দুই পারিবারিক আসন থেকে কংগ্রেসের কেউ না লড়লে ভুল বার্তা যেত। দেশজুড়ে কর্মীরাও হতাশ হতেন। সেকারণেই শেষপর্যন্ত রায়বরেলিতে প্রার্থী হলেন রাহুল। ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে দীনেশ প্রতাপ সিং। আগেরবার সোনিয়ার বিরুদ্ধে লড়ে পরাজিত হন তিনি।