Love jihad: Uttar Pradesh Assembly passes amendments to 'love jihad' law, offenders to face life imprisonment

Love jihad: ‘লাভ জিহাদে’ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রস্তাব ভোট মুখী যোগীরাজ্যে, সমালোচনায় বিরোধীরা

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বেআইনি ধর্মান্তর (সংশোধন) বিল ২০২৪ এনেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। আর সেখানেই লাভ জিহাদকে কেন্দ্র করে একাধিক কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে লাভ জিহাদ মামলায় এবার ১০ বছরের সাজা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হতে পারে।

বিজেপি এই বিলকে স্বাগত জানালেও বিরোধিতা করেছে সমাজবাদী পার্টি ও আজাদ সমাজ পার্টি। এ প্রসঙ্গে সপা প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন,’সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে ইউপির শাসক দল। যোগী আদিত্যনাথ সরকার চাইছে ধর্মান্তর আইনকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাতে। ইউপির জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির আশ্রয় নিচ্ছে ইউপির শাসক দল।’ ইউপির উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য অবশ্য দাবি করেছেন, এই প্রস্তাবিত আইন ধর্মান্তর আটকাতে সক্ষম হবে। এই প্রথম নয়, এর আগেও উত্তরপ্রদেশের ধর্মান্তরণকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মূলত মুসলিমদের বার বার নিশানা করা হয়েছে।

সমাজবাদী পার্টির নেতা ফখরুল হাসান চাঁদ সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধীতা করে বলেছেন, ‘রাজ্যের একটি লাভ জিহাদ আইন আছে। কেউ যদি কাউকে ভালোবাসার নাম করে ধর্মান্তর করার চেষ্টা করে তার জন্য আইন আছে। বিজেপি যে নতুন আইন আনতে চাইছে তা সম্পূর্ণভাবে সাম্প্রদায়িক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বেকারত্ব, প্রশ্নফাঁস নিয়ে কোনও কথা নেই এদের মুখে।’  লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। রামমন্দির করেও অযোধ্যায় হারতে হয়েছে তাদের। রাজ্যের একাধিক বিষয় চাপে আছে যোগী সরকার। ফলে ফের বিদ্বেষ রাজনীতির আশ্রয় নিতে হচ্ছে বিজেপিকে। এমনটাই অভিযোগ অনেকের।

সূত্রের খবর সংশোধনীটি ২ আগস্ট ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে বিধানসভায় পাস করাতে পারে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের বর্তমান ‘বেআইনি ধর্মান্তরণ আইন ২০২১’-এর অধীনে যে শাস্তিগুলির বিধান রয়েছে সেগুলিকে ‘অপর্যাপ্ত’ হিসেবে উল্লেখ করে সংশোধনী বিল উত্থাপন করে যোগী সরকার। ২০২১ সালে আইনসভায় পাস করে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধ করা হয়েছিল এই আইন। সেই সময় এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল ১০ বছর এবং ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা। প্রস্তাবিত বিলে অপরাধের পরিধি ও শাস্তি দু’টোই বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি জামিন পাওয়ার রাস্তাও আরও কঠিন হয়েছে প্রস্তাবিত বিলে। এ ছাড়াও রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এই ধরনের ঘটনায় যেকোনও কাউকে অভিযোগ দায়েরের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।