ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গুনা। ডাম্পারের সঙ্গে সংঘর্ষে আগুন ধরে গেল চলন্ত বাসে। এই ঘটনায় জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৩ জন যাত্রীর। বৃহস্পতিবার ভোররাতে গুনা-হারুন সড়কে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৭ জন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্রের খবর, যে বাসে আগুন লেগে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে এত জন যাত্রীর, সেই বাসটির মালিক ধর্মেন্দ্র শিকরওয়ার নামে বিজেপি নেতার। শুধু তাই-ই নয়, ওই সূত্রের দাবি, বাসটির না ছিল কোনও ফিটনেস শংসাপত্র, না ছিল বিমার কাগজ, এমনকি ২০২১ সাল থেকে পরিবহণ করও দেওয়া হয়নি।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। এই ঘটনায় যাঁরা দোষী প্রমাণিত হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সে দিকে নজর রাখা হবে। এই বাসের পারমিট ছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারের জন্য ৪ লক্ষ এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। এদিন সকালেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করার জন্য গুনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
যদিও পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, বাসটির কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। বিমা, ফিটনেস-সহ যে সব নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে সেগুলির সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে।আগুনে পুড়ে মৃতদের পরিচয় জানতে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্য়ে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরানো হয়েছে দেহগুলি । ঠিক কোন কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ৪ জন যাত্রী কোনওভাবে বাস থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। যদিও তারাও আগুনে ঝলসে আহত হন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে বাসটি গুনা থেকে অ্যারন যাচ্ছিল। বাসটিতে চালক ও কনডাক্টর-সহ ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। প্রচন্ড গতিতে একটি ডাম্পারকে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। তার পরই তেলট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ হয়ে গোটা বাসে আগুন ধরে যায়।