টানা পাঁচবার মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি (BJP)। পঞ্চমবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের প্রধান কারিগর হিসাবে ‘লাডলি বেহনা’ প্রকল্পের কথাই উঠে এল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের মুখে। উল্লেখ্য, বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তুমুল সমালোচনা করলেও সেই প্রকল্পের আদলেই মধ্যপ্রদেশে লাডলি বেহনা চালু করে বিজেপি। মাত্র ৬ মাসের মধ্যে এই প্রকল্পই বিপুল সাফল্য এনে দিল গেরুয়া শিবিরকে।
এই নির্বাচনে কার্যত মধ্যপ্রদেশের মাটিতে কোনও দাগই কাটতে পারল না কমলনাথের কংগ্রেস৷ মধ্যপ্রদেশে দিনের শুরু থেকেই নিজের আধিপত্য বজায় রেখেছে শিবরাজ সিংহ চৌহানের বিজেপি৷ বর্তমানে ২৩০ আসনের বিধানসভা কেন্দ্রে ১৬১টি আসনে এগিয়ে তারা৷ কংগ্রেস এগিয়ে ৬৭টি আসনে৷ অন্যান্যরা ২টিতে৷
প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের স্ট্র্যাটেজি এবং জনমুখী প্রকল্পের জন্যই তাঁদের এই জয় এসেছে৷ আর হ্যাঁ, বহেন নে সাথ দিয়া.. (বোনেরাও পাশে থেকেছেন)৷ ’’ অর্থাৎ, মহিলাদের থেকে পাওয়া বিপুল ভোটও যে তাঁদের এই জয়ের অন্যতম কারণ, তা এককথায় স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি৷
দীর্ঘদিন ধরেই বাংলায় চালু রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প। প্রতি মাসে মহিলাদের ৫০০ টাকা দেওয়া হয় এই প্রকল্পের আওতায়। তফসিলি মহিলাদের দেওয়া হয় ১০০০ টাকা। এই প্রকল্পের তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু ভোট টানতে বাংলার এই প্রকল্পকেই নিজেদের রাজ্যে কাজে লাগিয়েছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতৃত্ব। নির্বাচনের তিন মাস আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দেয়, লাডলি বেহনা প্রকল্পে মহিলাদের জন্য সাহায্যের পরিমাণ বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করা হবে।
কন্যাসন্তানকে দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য, উজ্জ্বলা ও লাডলি বহেন যোজনার আওতায় থাকা পরিবারকে ৪৫০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার৷ রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে বিজেপির এই বিপুল ভোট পাওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ অবশ্যই শিবরাজ সিং চৌহানের এই ঢালাও মহিলামুখী প্রকল্প এবং প্রতিশ্রুতি৷