রাস্তায় বসে থাকা আদিবাসী ব্যক্তির মুখে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশের এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়োও (সত্যতা যাচাই করেনি The News Nest) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা ঝড় উঠেছে।
দিন দুয়েক আগেই সমাজমাধ্যমে ভেসে উঠেছিল ওই ভিডিয়ো। যা ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে পড়ে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। কারণ বিরোধীরা এই নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছিলেন। পরে ভিডিয়োয় ধরা পড়া ব্যক্তির সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বিজেপি নেতাদের দেখা গিয়েছে বলেও দাবি করে মধ্যপ্রদেশের বিরোধী দল কংগ্রেস। ধীরে ধীরে সেই সব ছবিও প্রকাশ্যে আসে সমাজমাধ্যমে। ঘটনাটি নিয়ে হইচই শুরু হতেই তদন্তের নির্দেশ দেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনেও মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন তিনি। তারপর মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ২৯৪, ধারা ৫০৪ এবং তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি আইনের আওতায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে এমনও জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির সম্পত্তি বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: Two goats : শরীরে যেন আরবিতে লেখা ‘আল্লাহ’, জোড়া ছাগলের দাম উঠল ৫১ লক্ষ
তাতে অবশ্য বিতর্ক থামেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি The News Nest) দেখা গিয়েছে, সম্ভবত একটি দোকানের সামনে এক ব্যক্তি বসে আছেন। সামনে দাঁড়িয়ে ডানহাতে সিগারেট খেতে-খেতে ওই ব্যক্তির মুখে প্রস্রাব করছেন অপর একজন। যে ব্যক্তি বসে আছেন, তাঁকে দেখে অত্যন্ত অসহায় মনে হচ্ছিল। অন্যদিকে, যে ব্যক্তি প্রস্রাব করছিলেন, তাঁর অভিব্যক্তিতে চরম ঔদ্ধত্য ফুটে ওঠে।
ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, যে ব্যক্তি প্রস্রাব করছিলেন, তিনি মধ্যপ্রদেশের সিধির বিধায়কের প্রতিনিধি প্রবেশ শুক্লা। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারি এড়াতে বারবার নিজের অবস্থান বদলাচ্ছিলেন প্রাভেশ। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতের স্ত্রী ও মা–বাবার সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ। যদিও অভিযুক্তের দাবি, ভিডিয়োটি ভুয়ো। তিনি এমন কিছু করেননি।
অন্য দিকে, যে আদিবাসী যুবককে ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পুলিশ তাঁকেও চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছিল। তাঁর নাম দশমত রাভত। বয়স ৩৬। দশমতও জানিয়েছেন, ভিডিয়োটি ভুয়ো। অর্থাৎ ঘটনাটি বাস্তবে ঘটেনি। পুলিশকে দশমত জানিয়েছেন, প্রবেশকে ফাঁসানোর জন্য ওই ভিডিয়ো বানানো হয়েছে। যদিও এই মর্মে দশমতের লিখিত বয়ান দেখে বিরোধীরা দাবি করেছেন, তাঁকে দিয়ে ওই বয়ান লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। চাপে পড়েই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি তিনি।
আরও পড়ুন: Maharashtra: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাবায় ঢুকে পড়ল ট্রাক, পিষে মৃত্যু অন্তত ১৫ জনের