ভয়ংকর ঘটনা মধ্যপ্রদেশে। দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার দুই সেনা অফিসার। বেধড়ক মারধরের পর লুঠ করে নেওয়া হয় তাঁদের যাবতীয় জিনিসপত্র। কিন্তু এখানেই থেমে থাকেনি হামলাকারীরা। অফিসারদের সঙ্গে ছিলেন তাঁদের বান্ধবীরা। তাঁদের মধ্যেই এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলার জাম গেটের কাছে ঘটনাটি ঘটে। ওই অফিসাররা মাউ আর্মি কলেজে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। এদিন দুপুরে ইন্দোরের ছোটি জামের ফায়ারিং রেঞ্জের কাছে বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। সকলে মিলে গল্প করছিলেন। কিন্তু হঠাৎই সাত-আট জন মিলে তাঁদের উপর চড়াও হয়। তাদের হাতে পিস্তল ছিল। এর পরই দুষ্কৃতীরা ওই দুই সেনা অফিসারকে মারধর শুরু করে। নিগ্রহের শিকার হন তাঁদের সঙ্গে বান্ধবীরাও। সকলের কাছে টাকাপয়সা যা কিছু ছিল তা সবই লুঠ করে নেওয়া হয়। এরই মধ্যে দুষ্কৃতীরা এক তরুণীকে বন্দি বানিয়ে ফেলে। বদলে ওই সেনা অফিসারদের ১০ লক্ষ টাকা আনতে বলে। ওই অফিসার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পে গিয়ে কম্যান্ডিং অফিসারকে গোটা ঘটনা জানান। কম্যান্ডিং অফিসার পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সেনা ও পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। উদ্ধার করা হয় তরুণীকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, লুঠপাট করার উদ্দেশেই প্রথমে সেনা অফিসারদের উপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা। এর পর তারা ওই অফিসারদের সঙ্গে থাকা ওই তরুণীকে যৌন নির্যাতন করে। ঝোপে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। ঘটনার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নির্যাতিতাকে। তাঁর শারীরিক পরীক্ষাতে গণধর্ষণের প্রমাণ মেলে। আক্রান্তদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব গত সপ্তাহেই ভোপালে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তাঁর সময়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রভূত উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন।