লোকসভা ভোটের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা হাজির না হওয়ায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ‘মহাজুটি’র অন্দরের ফাটল নিয়ে আলোচনা আরও দানা বাঁধল।
বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি পার্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাকে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। তাতে ডাকা হয়েছিল জোটসঙ্গীদেরও। সেই জোটসঙ্গীদের মধ্যে একনাথ শিণ্ডে, রামদাস আটাওয়ালেরা উপস্থিতও ছিলেন ওই সভায়। ছিলেন না শুধু অজিত। তাঁর দলের অন্য নেতারাও ছিলেন না।
চলতি সপ্তাহে অজিত একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটের পরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএতে যোগদানের জন্য তৎকালীন অবিভক্ত এনসিপি নেতৃত্ব সক্রিয়তা শুরু করেছিল। অজিতের দাবি, সে সময় তিনি এবং তাঁর কাকা শরদ পওয়ারকে (অবিভক্ত এনসিপির তৎকালীন সভাপতি) সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছিলেন। এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘শিল্পপতি আদানি মধ্যস্থতাকারী হিসাবে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন।’’ অজিতের ওই মন্তব্যের পরেই ভোটের মহারাষ্ট্রে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর উপর ক্ষুব্ধ বলেও গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। ঘটনাচক্রে, তার পরেই মোদীর সভায় এনসিপি নেতৃত্বের এই অনুপস্থিতি।
আগামী ২০ নভেম্বরে এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। গণনা ২৩ নভেম্বর। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে। অজিতের দল ৫৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ন’টিতে বিজেপি বা শিন্ডেসেনার সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ হচ্ছে তাদের। এর মধ্যে রয়েছে মুম্বইয়ে নবাব মালিকের আসন মানকুর্ড-শিবাজিনগরও! সেখানে ত্রিমুখী লড়াইয়ে নবাবের বিরুদ্ধে শিন্ডেসেনার প্রার্থীকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি।