একদিকে রাজ্যে নিদারুণ প্রাকৃতিক বিপর্যয়। প্রকৃতির কোপে অসহায় জল-যন্ত্রণা ভোগ করছে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ। অথচ অন্যদিকে রাজ্যবাসীর দুর্ভোগ-কষ্ট উপেক্ষা করে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা ব্যস্ত রাজনীতির পাশাখেলায়। বন্যা দুর্গতদের পাশে না দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswasarma) ঘুরে বেড়াচ্ছেন উপনির্বাচনের প্রচারে। আবার এই বিপর্যয়ের মধ্যেই মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী শিব সেনা বিধায়কদের অপ্যায়ণে ব্যস্ত বিজেপি নেতারা। প্রশাসনের এই উদাসীনতার বিরুদ্ধে এবার পথে নামল তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার সকালে গুয়াহাটির ওই হোটেলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। অসমের তৃণমূল নেতা রিপুন বরা বলেন, ‘‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমাদের রাজ্যে চার শিশু-সহ আরও ১২ জনের বন্যায় মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে কয়েক হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ আমাদের রাজ্যের রাজকোষের টাকা খরচ করে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করছেন।’’ অসমের সম্পদ খরচ করে বিজেপি বিধায়ক কিনে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শিবসেনা বিধায়কদের গুয়াহাটি আগমন নিয়ে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, ‘পর্যটক আসা অসমের জন্য ভালো। এতে রাজ্য কর আদায় করতে পারবে।’ তাঁর এই মন্তব্যে বেজায় চটে যান বিরোধীরা। সেই রেশ ধরেই আজকে এই আন্দোলন শুরু করে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: Presidential Election: বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী? তৃণমূল ছাড়লেন যশবন্ত সিনহা
UNBELIEVABLE!
Silencing dissent is becoming innate to the @BJP4India regime.
When the people of Assam are suffering owing to the floods, @himantabiswa is only interested in politics. And now, our workers who were peacefully protesting against such inefficiency, are arrested! pic.twitter.com/1r7hoQKP6a
— AITC Assam (@AITC4Assam) June 23, 2022
গুয়াহাটিতে বিজেপির ‘হেফাজতে’ থাকা একনাথ শিন্ডে-সহ ৩৪ জন ‘বিদ্রোহী’ শিবসেনা বিধায়ক বুধবার নিজেদের ‘প্রকৃত শিবসেনা পরিষদীয় দল’ দাবি করে চিঠি দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি এবং ডেপুটি স্পিকার নিহারী সীতারাম জিরওয়ালকে। বৃহস্পতিবার সকালে মহারাষ্ট্র থেকে বিমানে এসে আরও তিন বিধায়ক গুয়াহাটির ওই বিলাসবহুল হোটেলে হিমন্তের ‘অতিথি’ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, উদ্ধব ঠাকরের সরকারের পতনের পর শিন্ডেকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের পর এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের বিদ্রোহী ভাইপো অজিত পওয়ারের সমর্থন পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস। অজিত হন উপমুখ্যমন্ত্রী। এ বার সেই ‘মডেল’ অনুসরণ করতে চাইছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, এনসিপি পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হয়ে ফের শরদের শিবিরে ফিরেছিলেন অজিত। ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন দেবেন্দ্র।
আরও পড়ুন: সরযূতে স্নানের মাঝে বউকে চুমু! অযোধ্যায় এসব চলবে না- বলে ধেয়ে এল কিল, চড়, লাথি!