সোমবার সন্ধ্যায় ২০ ফুট গভীর কুয়োতে ছয় সন্তানকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। ৬জনের মধ্যে পাঁচজন কন্যা ও একজন পুত্র সন্তান। পুলিশ ইতিমধ্য়েই অভিযুক্ত মাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম রুনা চিকুনা সাহানি।
সোমবার রাতে মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার মাহাড়ের ঘটনা।তার সন্তানদের বয়স দেড় বছর থেকে ১০ বছরের মধ্যে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্তানদের কুয়োতে ফেলে তিনিও ঝাঁপ দিয়েছিলেন। কিন্তু জলে হাবডুবু খেতে খেতে হঠাৎ বাঁচার ইচ্ছা তীব্র হয়ে উঠল তাঁর মনে। অতঃপর সন্তানদের জলে ফেলে রেখে একাই উঠে এলেন মা!ওই মহিলা বেঁচে গেলেও তাঁর এক শিশুপুত্র এবং পাঁচ শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের সকলেরই বয়স ১০-এর কম।
আরও পড়ুন: ড্রোন উড়িয়ে সরকারি কাজের খবর রাখি! ড্রোন মহোত্সবে যোগ দিয়ে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী
রায়গড়ের পুলিশ সুপার অশোক দুধে জানিয়েছেন, তার স্বামী রাতদিন মদ খান। নানাভাবে তিনি স্ত্রীকে সন্দেহ করেন। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই আছে। আর তাতেই বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওই মহিলা ৬ সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন।সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাছের কুয়োতে এক এক করে সন্তানদের তিনি ফেলে দেন। এরপর নিজেও ঝাঁপ দেন।
মাহাড়ের খারাভলি গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের অত্যাচারের কারণেই সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার স্বামী নির্মাণ শ্রমিক। তারা আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। মহিলার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ। তিনজন আধিকারিককে নিয়ে তদন্তকারী টিমও তৈরি করা হয়েছে।