৪ বছরের দুই স্কুল পড়ুয়া নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে কলকাতার মতোই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ঠানের জনতা। অভিভাবক ও স্থানীয়দের রেলরোকোর জেরে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত মুম্বইয়ের হৃৎস্পন্দন লোকাল ট্রেন পরিষেবা। সকাল থেকে উত্তাল জনতা স্কুল ভাঙচুর করে। পুলিশ বাধা দিয়ে রেল অবরোধ সরাতে এলে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে রেললাইনে পড়ে থাকা পাথর ছুড়তে থাকে উত্তেজিত জনতা।
গত ১৩ অগস্ট একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে দুই পড়ুয়াকে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে স্কুলেরই এক সাফাইকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার পর ১৬ অগস্ট গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় স্কুলে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে প্রতিবাদে শামিল হন অভিভাবকেরা। অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, এমন একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আর স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে গোটা বদলাপুরে বন্ধের ডাক দেন শহরবাসীরা।
#WATCH | Maharashtra | Protest underway at Badlapur Station against the alleged sexual assault incident with a girl child at a school in Badlapur pic.twitter.com/eMazZDliiU
— ANI (@ANI) August 20, 2024
বিক্ষোভকারীরা বদলাপুর স্টেশনে রেল রোকো কর্মসূচি চালায়। ছয় ঘণ্টা ধরে কোনও রেল চলাচল করেনি ওই স্টেশনে। স্কুলে এই ঘটনার পর প্রিন্সিপাল, কয়েকজন শিক্ষককেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে। উপমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিট গঠন করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলবে।
নির্যাতিতা দুই শিশুর পরিবার সূত্রে খবর, দুইজনেই স্কুলের শৌচালয়ে যেতে ভয় পেত। কয়েকদিন পর পরিবারকে আসল কারণ জানায়। জানায়, ওইদিন সাফাইকর্মী তাদের যৌন নির্যাতন করেছিল। এরপরই শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে যায় দুই পরিবার। কিন্তু অভিযোগ, সিনিয়র এক পুলিশ কর্মকর্তা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করছিলেন। পকসো কেসের পরেও পুলিশের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ জানিয়েছে নির্যাতিতাদের পরিবার।