Mahua Moitra: Advocate Jai Dehadrai files complaint with CBI against Mahua Moitra for snooping on him, 'ex-boyfriend'

Mahua Moitra: বাংলার পুলিশের সহায়তায় মহুয়া আড়ি পাতছেন, CBIকে চিঠি এক্স বয়ফ্রেন্ডের

প্রাক্তন বান্ধবীর দিকে এ বার নতুন তির ছুড়লেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। বস্তুত, তাঁর তোলা ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সাংসদপদ হারিয়েছেন মহুয়া। এ বার সেই প্রাক্তন বান্ধবের নয়া অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের দিয়ে তিনি তাঁর অন্য আর এক প্রাক্তন বান্ধবের উপর নজরদারি চালাতেন!

সেই সঙ্গে জয়ের দাবি, মহুয়া এবার তাঁর ফোনে নজরদারি চালাচ্ছেন। তিনি কোথায় যাচ্ছেন, সেই লোকেশন ট্র্যাক করা হচ্ছে। এই মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী। জয় কার কার সঙ্গে, কখন কোথায় দেখা করছেন, কখন কথা বলছেন, সবকিছুর উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে তিনি মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, মহুয়ার প্রাক্তনের দাবি, ‘আগে একাধিকবার মহুয়া স্বীকার করেছিলেন সুহান মুখোপাধ্যায় নামে বলে তাঁর এক প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড ছিল। যার উপরে নজরদারি চালাতেন। কারণ ওঁর সন্দেহ হত কোনও জার্মান মহিলার সঙ্গে গোপনে সম্পর্ক রাখতেন সুহান। সে কোথায় থাকছে, কাদের সঙ্গে কথা বলছে সব জোগাড় করে ফেলেছিলেন মহুয়া। এটা দেখে তো আমি অবাক হয়ে যাই। ২০১৯ সালে তিনি এই কাণ্ড করতেন তিনি। সেই সময়তেও বাংলার পুলিশ আধিকারিকদের সহায়তায় তিনি এই কাজ করতেন।’

তাঁর আরও দাবি, ‘আগেও মহুয়া নানাভাবে আমাকে হুমকি দিয়েছেন। এমনকী একাধিকবার মনে হয়েছে আমার গাড়িকে কেউ অনুসরণ করে। এই নিয়ে স্পেশ্যাল ডায়ক্টরের মাধ্যমে এই ঘটনার তদন্তের জন্য CBI-এরর কাছে আবেদন করেছি।’ দেহাদ্রাইয়ের সঙ্গে একদা সম্পর্কে ছিলেন মহুয়া। কিন্তু তা বেশি দিন টেকেনি। দেহাদ্রাই তাঁর অভিযোগে আরও দাবি করেছেন যে, গোটা ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি যখন মহুয়ার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তখন জবাব এসেছিল, সংসদের সদস্য হিসাবে কিছু বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী তিনি। তার মধ্যে রয়েছে, যাঁর উপর ইচ্ছে তাঁর উপর নজর রাখা। প্রাক্তন বান্ধবের আরও দাবি, মহুয়া তাঁকে জানিয়েছিলেন, বাংলার কয়েক জন আইপিএস আধিকারিক তাঁর এতই ‘বাধ্য’ যে, তাঁর কোনও দাবিই তাঁরা ফেলতে পারেন না। অভিযোগপত্রে নিজের প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন দেহাদ্রাই।