পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী হিংসার বিষয়টি নজিরবহীন ভাবে উঠে এল উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায়। আজ ওই রাজ্যের বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের বক্তব্যের উত্তরে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে আজ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী হিংসার বিষয়টি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনে ২৪২টি আসনের মধ্যে ১৪২টি আসনে হিংসা হয়েছে। সেখানে উত্তরপ্রদেশে কড়া ভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করায় কেবল বিধানসভাতেই নয়, পঞ্চায়েত কিংবা লোকসভাতেও হিংসার একটি ঘটনাও ঘটেনি।
উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আদিত্যনাথ বলেন, ‘ভোটের সময় সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করা জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে এক দিদি এসেছিলেন। সেই বাংলায় ভোট পরবর্তীতে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ১২ হাজার। বিজেপির ১০ হাজারের বেশি কর্মী আশ্রয় শিবিরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। ৫৭ জন বিজেপি কর্মীকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। ১২৩ জন মহিলার উপরে অমানবিক অত্যাচার হয়েছে। মনে রাখতে হবে বাংলার জনসংখ্যা উত্তরপ্রদেশের অর্ধেক। এখানে ভোটের আগে ও পরে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি।’
আরও পড়ুন: Delhi: ভয়াবহ! ঘরকে গ্যাস চেম্বার বানিয়ে ২ মেয়ের সঙ্গে আত্মঘাতী মা, দেয়ালে আটকানো সুইসাইড নোট
যোগীকে পাল্টা আক্রমণ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন,’ পুরো মিথ্যে বলেছেন যোগী আদিত্যনাথ। ওঁর নিজের দলের সরকার রয়েছে কেন্দ্রে। তাদের রিপোর্ট, তপসিলি জাতি, উপজাতিদের উপরে দেশব্যাপী যে অত্যাচার হয়েছে তার শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। একের পর এক কেন্দ্রীয় রিপোর্ট দেখাচ্ছে উন্নয়ণের দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ। সেই জায়গা দখল করেছে বাংলা। আর যত অশান্তি উত্তরপ্রদেশে বেশি। উন্নাও, হাথরাসের কথা কি ভুলে গিয়েছেন?’
তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় যোগীর বক্তব্যের জবাবে বলেন, “যে রাজ্যে ভুয়ো এনকাউন্টারে হাজারের বেশি লোক মারা পড়ে, যে রাজ্য গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সর্বকালীন রেকর্ড করেছে, সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যত কম বলেন ততই ভাল। কেবল মা ফ্লাইওভারের ছবি চুরি করলেই উন্নয়ন হয় না।”
আরও পড়ুন: Ladakh: লাদাখের নদীতে পড়ল সেনাবাহী ট্রাক, মৃত সাত জওয়ান, রয়েছেন এ রাজ্যের এক বাসিন্দাও