রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) যুবকের মুণ্ডচ্ছেদের ঘটনায় তোলপাড় দেশ। বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বক্তব্য সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন কানহাইয়া লাল নামের ওই দরজি। এরপরই তাঁর দোকানে ঢুকে তাঁকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে দুই আততায়ী। ঘটনার ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তারা। এই ভয়ংকর ঘটনায় স্তম্ভিত দেশ।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (West Bengal Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট, কোনও পরিস্থিতিতেই হিংসা ও উত্তেজনা মেনে নেওয়া যায় না। উদয়পুরে যা হয়েছে তা নিন্দাজনক। আমি সকলকে আইনের ওপর ভরসা করে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করছি।
Violence and extremism are UNACCEPTABLE, no matter what!
I STRONGLY CONDEMN what happened in Udaipur.
As law takes its own course of action, I urge everyone to maintain peace.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 29, 2022
মঙ্গলবারই বিষয়টি নিয়ে টুইটারে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেসের (Congress) রাহুল গান্ধী। তিনি লেখেন, উদয়পুরের খুনের ঘটনায় আমি বিস্মিত। ধর্মের নামে এমন বর্বরতা মেনে নেওয়া যা না। এই ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। সকলকে একজোট হয়ে হিংসার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। সকলের কাছে আবেদন, শান্তি ও সৌভাতৃত্বের পরিবেশ বজায় রাখুন।
আরও পড়ুন: Tripura By Election : জামানত জব্দ তৃণমূলের, ৩ আসনে হাজার ভোটও নেই, ব্যর্থ মিমি- অভিষেক
उदयपुर में हुई जघन्य हत्या से मैं बेहद स्तब्ध हूं।
धर्म के नाम पर बर्बरता बर्दाश्त नहीं की जा सकती। इस हैवानियत से आतंक फैलाने वालों को तुरंत सख़्त सज़ा मिले।
हम सभी को साथ मिलकर नफ़रत को हराना है। मेरी सभी से अपील है, कृपया शांति और भाईचारा बनाए रखें।
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) June 28, 2022
এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও টুইট করে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় সরব হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ”উদয়পুরের ঘটনাটি ভয়াবহ ও বীভৎস। সভ্য সমাজে এই ধরনের নৃশংসতার কোনও স্থান নেই। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এই ঘটনার অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।”
उदयपुर की वारदात बेहद भयावह और वीभत्स है। ऐसे नृशंस कृत्य की सभ्य समाज में कोई जगह नहीं है। हम इसकी कड़े शब्दों में निंदा करते हैं। इस वारदात को अंजाम देने वाले अपराधियों को कड़ी सज़ा दी जाए।
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) June 28, 2022
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ধানমণ্ডি এলাকার ওই দরজির দোকানে ঢোকে অভিযুক্ত দুই যুবক মহম্মদ রিয়াজ আখতার ও মহম্মদ গোশ। তারা শুরুতে নিহত দরজির কাছে জামার মাপ দেয়। এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় ও গলায় আঘাত করে। গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডও করে হত্যাকারীরা। এরপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে একাধিক বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে অভিযুক্তরা। এমনকী প্রধামন্ত্রীকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। নূপুর শর্মার মুণ্ডচ্ছেদেরও হুমকি দেয় দুই হত্যাকারী।
উত্তেজনা ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবারই অশান্ত এলাকাগুলিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দেন। দুই হত্যাকারীকে চিহ্নিত করা হয়। মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যের এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক ঘোষণা করে, গোটা ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কোনও সংগঠন এর পিছনে আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। বিদেশি কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না তদন্ত করে দেখা হবে তা-ও।