মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। এই দাবি তুলে সোমবার সকাল থেকেই চাপ বাড়াল বিরোধী শিবির। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনা শুরু করল INDIA জোটের শরিকরা। হাজির তৃণমূল সাংসদরাও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)-সহ দলের প্রায় সব সাংসদকেই দেখা গেল হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান তুলতে। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়েই সরব তাঁরা।
পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতি চেয়ে সংসদের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন বিরোধী সাংসদেরা। রাজস্থান, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সংসদ চত্বরে পাল্টা বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদদের একাংশও। ফলে রাজ্যসভা এবং লোকসভা শুরু হওয়ার আগেই স্লোগান এবং পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ চত্বর।
সম্প্রতি ২৬টি বিরোধী দল ‘ইন্ডিয়া’ নামের মঞ্চে একত্রিত হয়। তাই বিরোধী সাংসদদের ধর্নায় দেখতে পাওয়া পোস্টারগুলিতে লেখা রয়েছে, ‘ইন্ডিয়া মণিপুরে সুবিচার চায়’।সোমবার মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবিতে সংসদের দুই কক্ষেই নোটিস দেন বিরোধীরা। রাজ্যসভার বিধি অনুসারে ২৬৭ নম্বর অনুচ্ছেদে এই নিয়ে আলোচনার আর্জি জানান সাংসদ তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। প্রসঙ্গত, এই অনুচ্ছেদ অনুসারে রাজ্যসভার কোনও সদস্য জরুরি এবং আপৎকালীন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে নোটিস দিতে পারেন। নোটিসটি গৃহীত হলে সভার পূর্বনির্ধারিত কাজ স্থগিত রেখে নির্দিষ্ট বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে বাদানুবাদের পর দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়।