দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় খারাপ ফল করেছিলেন পাত্রী। সেই কারণ দেখিয়ে বিয়ে বাতিল করলেন পাত্রের বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের তিরভা কোতওয়ালি এলাকায়। পাত্রীর পরিজনেদের অবশ্য দাবি, পাত্রপক্ষের পণের চাহিদা না মেটায় বিয়ে ভেঙেছেন তাঁরা।
পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, পাত্রী সোনির সঙ্গে সোনুর বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল ২০২২ সালে। সেই বছরের ডিসেম্বর মাসে বিয়ের আগের নানা লৌকিক অনুষ্ঠান পর্যন্ত পালন করে ফেলা হয় বলে জানা গেছে। ষাট হাজার টাকার উপর খরচ হয় সেই অনুষ্ঠানে তাছাড়াও মেয়ের পরিবারের তরফে ছেলেকে সোনার আংটি পর্যন্ত উপহার দেওয়া হয়। প্রাথমিক অনুষ্ঠান মিটে যাওয়ার পর থেকেই ছেলের পরিবার পণের জন্য চাপ দিতে থাকে। যখন মেয়ের বাবা জানান তিনি আর টাকা দিতে পারবেন না তখন মেয়ের কম নম্বর পাওয়ার অজুহাত দিয়ে বিয়ে ভেঙে দেন ছেলের পরিবার।
আরও পড়ুন: UN Geneva: জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের দপ্তরের সামনে ভারত বিরোধী পোস্টার! রাষ্ট্রদূতকে তলব
পাত্রীর বাবার অনুমান, পণ দিতে না পারার কারণে বিয়ে বাতিল করতে চাইছেন তাঁরা। তিনি বেশ কয়েক বার বাতিল না করার অনুরোধ করেন পাত্রের বাড়ির সদস্যদের। কিন্তু তাতে কোনও লাভ না হওয়ায়, শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন। পাত্র এবং তাঁর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন তিনি।
পুলিশ চেষ্টা করছে দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করতে। যদি দুই পরিবার পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে কোনও সিদ্ধান্তে না আসতে পারে তাহলে মেয়ের পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী মামলা দায়ের করবে পুলিশ এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।