বউকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বাড়ির কাজ করতে বললে সেটাকে কোনওভাবেই নিষ্ঠুরতা বলা যাবে না। এমনকী এটাও কোনওভাবে ধরা যাবে না যে তিনি বাড়ির পরিচারিকা। এমনই রায় দিয়েছে বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ ডিভিশন বেঞ্চ।শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছিলেন স্ত্রী।এদিন তা খারিজ করে দেয় আদালত।
বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চের বিচারপতি বিভা কঙ্কনওয়াড়ি এবং রাজেশ পাতিলের এজলাসে ছিল মামলা । আদালত এক কলমের খোঁচায় বাতিল করে দিয়েছে এফআইআর। সেই সঙ্গে বলেছে, যদিও বিবাহিত কোনও মহিলাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বাড়ির কাজ করতে বলে, সেটাকে কখনই নিষ্ঠুরতা বলা যাবে না। সেটাকে মানসিক নির্যাতন বলা যাবে না। যদিও বিয়ের পর তাঁর বাড়ির কাজ করার ব্যাপারে আপত্তি থাকে তাহলে বিয়ে হওয়ার আগেই সেটা শ্বশুরবাড়ির লোককে জানিয়ে দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী এবং দুইয়ের পরিবার বিয়ে নিয়ে চিন্তা করতে পারে।
আদালত এবিষয়ে মন্তব্য করার সময় জানায়, দেখা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর প্রতি নির্যাতনের অভিযোগ তুললেও ঠিক কী ধরনের অত্যাচার করা হত তাঁর উপরে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ”যদি কোনও বিবাহিত মহিলাকে ঘরের কাজ করতে বলা হয়, তবে মোটেই সেটাকে পরিচারিকার কাজ করতে বলা হচ্ছে বলে দেগে দেওয়া যায় না।”
শ্বশুর ও স্বামীর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলার ভাগ্যনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মহিলা।ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ৪৯৮ এ ধারার অধীনে নিষ্ঠুরতার জন্য স্ত্রীর দায়ের করা মামলার বিরুদ্ধে একজন ব্যক্তি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের দায়ের করা আবেদনের শুনানি করছিল বেঞ্চ। এই ধারা অনুযায়ী, যদি কোনও স্বামী বা স্বামীর আত্মীয় কোনও মহিলাকে নিষ্ঠুরতার শিকার করেন, তবে তাঁদের তিন বছর পর্যন্ত কারাবাস ও জরিমানা হবে। ৪৯৮ ধারা ছাড়াও ওই মহিলা স্বামীর বিরুদ্ধে ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) ধারার অধীনে মামলা করেছিলেন।