হতাশায় চরম পদক্ষেপ মেডিক্যাল পড়ুয়ার। অণ্ডকোষ কেটে আত্মঘাতী ওই তরুণ, এমনটাই প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। ওই ছাত্রের নাম দক্ষিত রেড্ডি।
ধারালো অস্ত্রের কোপে অণ্ডকোষ ছিন্নবিচ্ছিন্ন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে নিম্নাঙ্গ। নিজের ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় রবিবার এ ভাবেই পাওয়া গিয়েছিল দীক্ষিতকে। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: Madhya Pradesh: আদিবাসীর শ্রমিকের মুখে প্রস্রাব বিজেপি নেতার, বিতর্কের পর গ্রেফতার পুলিশের
দীক্ষিতের আত্মঘাতী হওয়ার খবরে স্তম্ভিত তাঁর সহপাঠীরা। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। এমনকী সুস্থ হতে ওষুধও চলছিল তাঁর। কিন্তু সম্প্রতি সেই ওষুধ খাচ্ছিলেন না দীক্ষিত। আর তাতেই রোগ আরও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এরপরই জীবনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ২০ বছরের ছাত্র। তাঁর সহপাঠীরা জানাচ্ছেন, বছর চারেক আগেও আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন দীক্ষিত। কিন্তু সে যাত্রায় কোনওক্রমে রক্ষা পেয়ে যান। তার পর থেকেই অবসাদের ওষুধ খাওয়া শুরু। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। দীক্ষিতকে হারিয়ে দিশেহারা তাঁর মা ও বোন। পড়াশোনার চাপ, নাকি ব্যক্তিগত সমস্যা, ঠিক কী কারণে অবসাদগ্রস্ত হয়েছিলেন দক্ষিত? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সম্প্রতি একাধিক ডাক্তারি পড়ুয়ার আত্মহননের খবর শিরোনামে উঠে এসেছে। তেলেঙ্গানা আত্মঘাতী হয়েছিলেন ২১ বছরের তৃতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া। আরেক পড়ুয়া দসরী হর্ষও আত্মহত্যা করেন। বারবার ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীদের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা প্রশ্ন তুলছে, তবে কি ডাক্তারি পড়া অথবা পরিবেশ নিয়ে কোনও সমস্যায় পড়ছেন পড়ুয়ারা?