মেঘালয় ধরেই দিল্লির হাইওয়ে তৈরির করার স্বপ্ন দেখেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে সেই আশায় জল ঢেলেছে ভোটের ফল। প্রাথমিক ট্রেন্ডে তৃণমূল চমকপ্রদ ভাবে ১৯টি আসনে এগিয়ে গেলেও সেই ট্রেন্ড ধরে রাখতে পারেনি তারা। এককভাবেই ম্যাজিক ফিগারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।
দেড় বছর আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ককে দলে নিয়ে মেঘালয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়েছিল তৃণমূল। পেয়েছিল প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদাও। যদিও এ কথা অনস্বীকার্য যে, সামগ্রিক ভাবে প্রায় এক দশক পরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আর একটি রাজ্যে নজরকাড়া ফল করেছে মমতার দল। ২০১২ সালে মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচনে ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। তারা জিতেছিল ৭টি আসনে। বাংলার বাইরে এ পর্যন্ত কোনও বিধানসভা ভোটে সেটিই তৃণমূলের সবচেয়ে ভাল ফল। মেঘালয়ে সে রেকর্ড তারা ছুঁতে পারেনি। কিন্তু ৬০ আসনের মধ্যে ৫৬টিতে লড়ে প্রায় ১৩.৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে জোড়াফুল শিবির।
আরও পড়ুন: Meghalaya Election 2023: ‘গোমাংস খেয়েই বিজেপিতে আছি’! ভোটের মুখে স্পষ্টবক্তা মেঘালয়ের পদ্মসভাপতি
এখনও পর্যন্ত ৩টি আসনে জয় হয়েছে তৃণমূলের। নঙ্গথিম্মাই থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জিতলেন চার্লস পিঙ্গরোপ। ১,১৯৯ ভোটে জিতেছেন। রাজাবালাতে ১০ ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী মিজানুর রহমান কাজি। হারিয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবদুস সালেহকে।
ফল প্রকাশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’ মাত্র ছয় মাস আগে মেঘালয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা ১৫ শতাংশ ভোট পেয়েছি। যা আমাদের দলের সর্বভারতীয় স্বীকতি পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। আমি মেঘালয়ের মানুষকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। পরেববার আমরা আরও ভালো করবে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেস নিয়ে মানুষের মনে একটা ধন্দ ছিল। কংগ্রেস বলেছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কংগ্রেসে আছে। কারণ আমি আগে কংগ্রেসে ছিলাম। এটা আমরা সমাধান করে নেব।’
আরও পড়ুন: Tripura Assembly Election: নোটার চেয়েও কম ভোট! ত্রিপুরায় অস্তিত্বহীন তৃণমূল কংগ্রেস