গো-মাংস খাওয়া নিয়ে কোনও রকমের নিষেধাজ্ঞা নেই বিজেপিতে। তিনি নিজেও গো-মাংস খেয়েছেন। এতে দলে কোনও সমস্যা হয়নি। বিধানসভা ভোটের মুখে বিস্ফোরক দাবি করলেন মেঘালয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি আর্নেস্ট মাওরি।
২৭ ফেব্রুয়ারিই মেঘালয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। খ্রিস্টান প্রধান মেঘালয়ে নির্বাচনের আগে জোর চর্চা চলছে গোমাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ, সিএএ জারি করার মতো বিষয়গুলি নিয়ে। তারই মধ্যে এমন মন্তব্য করলেন বিজেপির মেঘালয় রাজ্যের সভাপতি আর্নেস্ট মাওরি। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মাওরি বলেছেন, “আমি গরুর মাংস খাই এবং আমি বিজেপিতে আছি। এই নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। মেঘালয়ের মানুষ এবার বিজেপির সঙ্গে আছে। ২ মার্চ ফল বের হলেই তা দেখা যাবে।”
শুধু তাই নয়, সোমবার ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্নেস্টের দাবি, বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোনও গির্জার উপর কোনও আক্রমণ হয়নি এবং পদ্ম-শিবিরে গোমাংস খাওয়ার উপর কোনও বিধিনিষেধ নেই। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপিতে জাতপাত, ধর্ম, খাদ্যাভ্যাসের রাজনীতি হয় না। সঙ্ঘ পরিবারের ‘ঘোষিত অবস্থান’ থেকে সরে এসে মেঘালয় বিজেপি সভাপতির এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে সে রাজ্যে।
আরও পড়ুন: Earthquake : সিকিম মেঘালয়ের ভূমিকম্পের পর, ভোরবেলা কাঁপল জম্মু-কাশ্মীর
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মোদী সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গোমাংস ভোজের আয়োজন করেছিলেন মেঘালয়ের প্রদেশ বিজেপি নেতাদের একাংশ। সে সময় সে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের অন্দরে প্রবল মতবিরোধ শুরু হয়েছিল। মেঘালয় বিজেপির নেতা তথা তৎকালীন মন্ত্রী শানবর সুল্লাই প্রকাশ্যে গোমাংস খাওয়ার পক্ষে সওয়াল করায় তাঁকে ভর্ত্সনা করেছিলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
ভোটার আগে উত্তর-পূর্ব ভারতের খ্রিস্টান গরিষ্ঠ ওই রাজ্যের ভোটদাতাদের পাশে পেতেই আর্নেস্টের এমন মন্তব্য বলে ভোট পণ্ডিতদের একাংশের ধারণা। কারণ, মেঘালয়ের একটা বড় অংশের মানুষ, যাঁরা গোমাংস খান, তাঁরা বিজেপি-র গোমাংস নিষিদ্ধ রীতির সঙ্গে ভাল ভাবেই পরিচিত। আর্নেস্টের মন্তব্য সেই ভাবমূর্তি ভাঙার চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে।