লোকসভায় দেশজুড়ে ‘৪০০ পারের’ স্লোগান তুলেছিল পদ্ম বাহিনী। ফল প্রকাশের পর দেখা গেল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পায়নি বিজেপি। অগত্যা সরকার গড়তে ভরসা রাখতে হল শরিক দলগুলির ওপর। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আখের গোছাতে চাইছেন চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমার। ইতিমধ্যে মন্ত্রীসভার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর দাবি করেছেন তাঁরা। তাঁদের সুরে সুর মিলিয়েছেন JD(S)-এর চিরাগ পাসওয়ান এবং RLD-র জয়ন্ত চৌধুরীও। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে এবার শরিকদলের আবদার কীভাবে রক্ষা করবেন দেশের ভাবি প্রধানমন্ত্রী?
শরিক দলগুলির সমর্থন নিশ্চিত করতে বুধবার নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে বৈঠকে বসে বিজেপি ও এনডিএ-র সদস্যরা। সরকারের গড়ার জন্য বিজেপির প্রয়োজন আরও ৩২টি আসন। তাহলেই ২৭২ সংখ্যা স্পর্শ করবে এনডিএ। এই মুহূর্তে এনডিএ-র হাতে রয়েছে ২৯২ আসন। তবে চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতিশ কুমার সন্তুষ্ট করতে মরিয়া বিজেপি। এই দুই নেতার কাছে রয়েছে মোট ২৮টি আসন। যা সরকার গঠনে নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
সূত্রের খবর, গতকালের বৈঠকে এনডিএ-র শরিক দলগুলি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীত্বের দাবি করেছে। চন্দ্রবাবু নাইডু মোট ৫টি মন্ত্রীত্বের দাবি জানিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে ৪টি পূর্ণ মন্ত্রী এবং একটি অর্থ প্রতিমন্ত্রী। সড়ক, পঞ্চায়েত, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি জানিয়েছে টিডিপি। পাশাপাশি স্পিকার পদেরও নাকি দাবি জানিয়েছেন চন্দ্রবাবু নাইডু।
এদিন নাইডুর উনডাবল্লির বাড়িতে আয়োজিত বৈঠকের পর দলের এক সাংসদ বলেন, আমরা প্রথমেই অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবি জানাব। রাজ্য ভাগ হওয়ার পর হায়দরাবাদ হাতছাড়া হওয়ায় আমাদের ব্যাপক রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।সূত্রে জানা গিয়েছে, দাবি বা বায়না যাই থাক না কেন, শরিক দলগুলিকে রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ দিয়ে সন্তুষ্ট রাখতে চায় বিজেপি। মন্ত্রক বন্টনের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজনাথ সিং, অমিত শায়ের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন নাড্ডা। সূত্রের খবর এই বৈঠকে ঠিক হয়েছে চন্দ্রবাবুর আবদার মেনে তৃতীয় মোদির সরকারে একজন পূর্ণমন্ত্রী এবং দু’জন প্রতিমন্ত্রী টিডিপি থেকে নিয়োগ করা হচ্ছে, শুধু তাই নয় অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের ব্যবস্থা করাতেও সিলমোহর দিয়েছেন মোদীর সেনাপতি অমিত শাহ।