Modi-Cabinet: The 3 ministries Nitish Kumar’s JD(U) will have its eyes on

Modi-Cabinet: রেল সহ ৩ মন্ত্রক, অগ্নিবীর – অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে শর্ত চাপাল নীতীশের দল

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হলেও তাঁর তৃতীয় সরকারে যে বিজেপি শেষ কথা হবে না, পদ্ম শিবিরের একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়াতেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। মোদী সরকার তৃতীয়বার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই শর্ত চাপাতে শুরু করেছে এনডিএ’র প্রধান শরিকেরা। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ইস্যু নিয়েও নিজেদের মত প্রকাশ করতে শুরু করেছে শরিকেরা।

নীতিশ কুমারের হাতে রয়েছে ১২টি আসন। রেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের ওপর নজর রয়েছে নীতিশের। তিনি একটি প্রতিমন্ত্রী ও ২টি পূর্ণ মন্ত্রীর দাবি জানিয়েছেন বলেই জানা যাচ্ছে। তার মধ্যেই বিজেপির ইস্তাহারে উল্লিখিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়েও জেডিইউর খানিক বেসুরো স্বর শোনা গিয়েছে।  বৃহস্পতিবার জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “ভোটদাতাদের একাংশ অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন। আমাদের দল চায়, জনগণের তোলা প্রশ্নগুলো নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হোক এবং এটি প্রত্যাহার করা হোক।”

প্রসঙ্গত, ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সি যুবকদের সেনাবাহিনীতে কাজ করার সুযোগ দিতে অগ্নিপথ প্রকল্প আনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বলা হয়, সেনায় চাকরি পাওয়া যুবকদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশকে ১৫ বছরের জন্য বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু সেনায় এই অস্থায়ী চাকরির বন্দোবস্ত নিয়ে যুব সম্প্রদায়ের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ চরমে ওঠে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিপর্যয়ের নেপথ্যে এই অগ্নিপথ-ক্ষোভকে দায়ী করেছেন অনেকে। বিরোধী দলগুলি আগেই এই প্রকল্প বন্ধ করার দাবি তুলেছিল। এ বার বিজেপির শরিক দলও একই দাবি তোলায় অস্বস্তিতে পদ্মশিবির।

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে জেডিইউ-র বক্তব্য, তারা এই ব্যবস্থার বিরোধী নয়। কিন্তু আইন প্রণয়নের আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলার পক্ষপাতী তারা। জাতগণনা নিয়ে ফের সরব হয়ে জেডিইউ নেতা ত্যাগী বলেন, “কোনও দল বলতে পারবে না যে, তারা জাতগণনা চায় না। বিহার পথ দেখিয়েছিল। সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী (মোদী)-ও এর বিরোধিতা করেননি। তাই জাতগণনা সময়ের দাবি।” আসলে আগামী বছর বিহার বিধানসভার ভোট। বিহারের হাজার হাজার তরুণ ভারতীয় সেনায় কর্মরত। তাদের কাছে সেনায় চাকরি অন্যতম সহায়। অগ্নিবীর প্রকল্প চালুর ফলে বিহার, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলের মতো রাজ্যগুলির বেকার তরুণেরা সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে। স্বভাবতই নীতীশের দল ওই প্রকল্প নিয়ে সরকার গড়ার আগেই তাদের আপত্তির কথা তুলে ধরল।  অন্যদিকে, মুসলিম ভোটের অঙ্কে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়েও সতর্ক বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

বিহারের বিশেষ মর্যাদার দাবিতেও সরব হয়েছে জেডিইউ। কেবল এক দেশ এক ভোট নিয়ে বিজেপির অবস্থান এবং নীতীশের দলের অবস্থান হুবহু মিলে গিয়েছে।