শনিবার ওড়িশায় সভা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেই সভায় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজু জনতা দল নেতা নবীন পট্টনায়েককে খোঁচা দিতে গিয়ে মোদী বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ করছি, আপনারা নবীনবাবুকে বলুন, কাগজ না দেখে ওড়িশার সব জেলা ও রাজধানীর নাম বলতে..”।
কিন্তু মোদীর এ কথায় ফুলটস বল পেয়ে মাঠের বাইরে পাঠাতে চেয়েছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা কটাক্ষ করে বলতে শুরু করেছেন, জেলার আবার রাজধানী কী? ভারতের প্রশাসনিক কাঠামোয় রাজ্যের জেলা রয়েছে। জেলা থাকে জেলা সদর। জেলা শাসক, পুলিশ সুপার, রাজস্ব অফিস ইত্যাদি সেই সদরে থাকে। কিন্তু রাজধানী বলে কোনও জায়গা জেলায় থাকে না।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “আমাকে পাঁচ বছর সময় দিন, ওড়িশাকে নাম্বার ওয়ান করতে না পারলে আপনারা আমাকে না হয় তখন প্রশ্ন করবেন”। এর আগে কর্নাটকে গিয়েও নাম্বার ওয়ান রাজ্যের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস এদিন তা নিয়েও খোঁচা দিতে চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।
শনিবার ফুলবনিতে বিজেপির জনসভায় তিনি বলেন, ‘‘এ বার ওড়িশায় ক্ষমতায় এলে বিজেপি এমন কোনও ভূমিপুত্র বা ভূমিকন্যাকে মুখ্যমন্ত্রী করবে, যিনি ওড়িয়া ভাষা জানেন। যিনি ওড়িশার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত।’’ এর পরেই নবীনের উদ্দেশে মোদীর খোঁচা— ‘‘ওড়িশার সবক’টি জেলার নাম বলুন তো।’’
দুন স্কুল, সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের প্রাক্তনী নবীনের মা পঞ্জাবি। ছোটবেলা থেকে ইংরেজি এবং হিন্দির পরিমণ্ডলে তাঁর বেড়ে ওঠা। তাই ওড়িশায় প্রায় তিন দশকের মুখ্যমন্ত্রী এখনও ভাঙা ভাঙা উচ্চারণে হাতে গোনা কিছু ওড়িয়া বাক্য বলতে পারেন। অভিযোগ, ওড়িয়া অক্ষরও বিশেষ চিনে উঠতে পারেননি তিনি। জনসভায় বলতে উঠে এখনও চোখ রাখতে হয় কাগজে। তাতে রোমান হরফে লেখা থাকে ওড়িয়া বক্তৃতা!
মোদিত মন্তব্য শুনে অনেকে বলেছেন,আর যায় হোক মোদির মত আর কাউকে তো এখনো টেলিপ্রম্পটার দেখে ভাষণ দিতে হয় না। টেলিপ্রম্পটার বন্ধ থাকলে তো উনি একটাও কথা বলতে পারেন না। যিনি স্ক্রিপ্ট ছাড়া একটাও ভাষণ দিতে পারেন না তিনি কোন মুখে নবীন পট্টনায়কের মত লোককে খোঁচা দিতে আসেন। কাঁচের ঘরে বাস করলে কাউকে ঢিল ছুড়তে নেই, এটা কি মোদী জানেন না ?