মোদি সরকার (Modi Govt)২০১৪ সাল থেকে যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে তার ছিঁটেফোঁটা গিয়ে পৌঁছায়নি নীচুতলার মানুষদের কাছে। বহুবার অর্থনৈতিক সমীক্ষাতে তা উঠে এসেছে। মধ্যবিত্ত শ্রেনীও ক্রমশ মোদি বিরোধীতায় সরব হচ্ছেন কেননা মোদর রাজত্বকালে তাঁরা সেভাবে কিছুই পাননি।
উল্টে প্রত্যেকের সঞ্চয়ে কোপ পড়েছে। কার্যত বিগত ৩০ বছরের ইতিহাসে দেশে সঞ্চয়ের পরিমাণ সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছে। আয়করে ছাড় দিয়ে এক্ষেত্রে যে কিছু হবে না সেটা বুঝেই এবার মোদি সরকার ডাকঘরের মাধ্যমে মানুষের হাতে কিছু বাড়তি টাকা পৌঁছে দিতে চাইছে। সেই কারণেই ভাবনাচিন্তা চলছে ডাকঘরের মাধ্যমে স্বল্প সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদী (Small savings)প্রকল্প চালু করা যা একাধারে গ্রামীণ এলাকার মানুষদের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত এবং তরুণ প্রজন্মকে টাকা জমানাওর ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদান করবে।
২০২২ সালের বাজেটে ডাকঘরের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযোগের ঘোষণা হয়েছিল। সেই কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। ১ লক্ষ ৫৮ হাজার পোস্ট অফিসের সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কোর ব্যাঙ্কিং সলিউশন ব্যবস্থা সমাপ্তির পথে। কোর ব্যাঙ্কিং সলিউশনের মাধ্যমে ডাকঘরে থাকা সেভিংস অ্যাকাউন্টের সঙ্গে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে সংযুক্ত করা যাচ্ছে।
ফলে টাকা ট্র্যান্সফার, এটিএমের (ATM)মাধ্যমে টাকা তোলা অথবা অনলাইন টাকা পাঠানোর ব্যবস্থাও হয়ে যাবে। তাই ডাকঘরের মাধ্যমে স্বল্প সঞ্চয়ের স্বল্প মেয়াদী (Modi)প্রকল্প আনতে কোনও অসুবিধা হবে না। দেশের ডাকঘরে এখন ৫০ কোটির বেশি সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। গ্রামীণ ভারতে এখনও ডাকঘরে সেভিংস অ্যকাউন্ট খোলা এবং টাকার লেনদেন সবথেকে বেশি প্রচলিত ও জনপ্রিয়। সেই কারণে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের গ্রাহক সংখ্যাও গ্রামীণ এলাকায় অনেক বেশি।
এই কোর ব্যাঙ্কিং সলিউশন সম্পূর্ণভাবে চালু হয়ে যাওয়ার পর ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে বড়সড় লাভ হবে। এখন আর টাকা পেতে অপেক্ষা করতে হবে না। গ্রামীণ এলাকার যত ক্ষুদ্র ডাকঘর শাখাই হোক, ম্যাচিওর হওয়া টাকা সময়মতো পাওয়া যাবে। অনলাইনে ব্যাঙ্কে ট্র্যান্সফার করেও দেওয়া যাবে। এটিএমের(ATM) মাধ্যমে সেই টাকা তোলাও যাবে।