পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) নিরাপত্তায় গাফিলতি নিয়ে যখন বিতর্ক চরমে, সেই সময় প্রকাশ্যে এল বিজেপি (BJP) সমর্থকদের একটি ভিডিও। যেখানে দেখা গেল, এসপিজি (SPG) নিরাপত্তার বলয় থাকা সত্বেও সেদিন প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির কয়েক মিটারের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থকও। বলাবাহুল্য, এই ঘটনায় নয়া মোড় নিল প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গলদের বিতর্ক।
ঠিক কী দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে? বিতর্কিত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বিজেপির পতাকা হাতে কয়েকজন সমর্থক। তাঁদের মুখে ছিল ‘বিজেপি জিন্দাবাদ’ স্লোগান। গেরুয়া সমর্থকদের ওই দলটি বিপজ্জনকভাবে প্রধানমন্ত্রীর কালো রংয়ের টয়োটা ফোর্টনার গাড়িটির কাছে গিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। তাঁরা প্রায় রাস্তার উপরে উঠে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির চালক রাস্তার একধারে সরিয়ে নিচ্ছেন টয়োটা ফোর্টনারটিকে।
यह बात सबकी समझ से परे है कि पीएम मोदी के काफिले के बेहद करीब भाजपा के लोग मोदी जी के समर्थन में नारे लगा रहे हैं। SPG उनको रोकना तो दूर, मना भी नहीं कर रही है, आखिर क्यों?#पंजाब_माफ_नहीं_करेगा pic.twitter.com/JpQZg1GMfs
— Congress (@INCIndia) January 7, 2022
বুধবার পঞ্জাবের হুসেইনওয়ালায় সভা করতে যাওয়ার পথে ফিরোজপুর ফ্লাইওভারে কৃষক বিক্ষোভের জেরে আটকে যায় নরেন্দ্র মোদির কনভয়। বিক্ষোভের মুখে ২০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করে, ভাতিন্দা বিমানবন্দরে ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। ঘটনার বিশদ রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: আপত্তিকর অ্যাপ বানিয়ে মুসলিম মহিলাদের ‘নিলাম’! গ্রেফতার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া
বিজেপি কাঠগড়ায় তোলে চান্নির সরকারকে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা নরেন্দ্র মোদির ‘নিরাপত্তায় গাফিলতি’কে কংগ্রেসের ‘নোংরা রাজনীতি’ বলে দাবি করেন। কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনে হারবে জেনেই এই ধরনের নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে বলেও নড্ডা অভিযোগ করেন। এরপর ভিডিও সামনে আসতেই কংগ্রেস প্রশ্ন তোলে, কৃষক বিক্ষোভের কারণে নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের যদি প্রশ্ন ওঠে, তা হলে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের কাছে দাঁড়িয়ে বিজেপি সমর্থকদের স্লোগান দেওয়ার জন্য একই অভিযোগ উঠবে না কেন? এসপিজি-র নিরাপত্তারক্ষীরা কেন বিজেপির ওই কর্মী-সমর্থকদের সরিয়ে দিল না?
ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ভিডিয়োয় কংগ্রেস লেখে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষা দেশের কর্তব্য। উলটো দিকে দেশের সুরক্ষা দেখা প্রধানমন্ত্রীর কর্তব্য। কিন্তু প্রশ্ন হল, বিজেপি সমর্থকদের প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের কাছে ঘেঁষার অনুমতি তা হলে কেন দেওয়া হল? আর যদি গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের এই অনুমতি দেওয়া হয়, তা হলে পঞ্জাবকে কেন অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলে ‘অপদস্থ’ করা হচ্ছে?
আরও পড়ুন: বারাণসীর ঘাটে অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ! পোস্টার বজরং দল ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের