মোদী আছেন মোদীতেই।ভোটের প্রথম প্রচারে মনে হচ্ছিল এবার বুঝি উন্নয়নের কথা বলবেন মোদী। এবার হয়তো ধর্মকে আর সেভাবে ব্যবহার করবেন না তিনি। কিন্তু তা হল না।প্রথম দফা ভোটের পর কি তবে আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরল ? মোদির কি মনে হল আর ওসব ভালো ভালো কথা বলে হবে না। খেলতে হবে ধর্ম ও বিদ্বেষের পুরাতন তাস ? তাই কি আদর্শ আচরণবিধির তোয়াক্কা না কে ধর্মকে সামনে রেখে প্রচারে নেমে পড়লেন তিনি ?
রামনবমীর পর মঙ্গলবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষেও কংগ্রেসকে গদাযুদ্ধে আহ্বান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজস্থানের টঙ্ক-সোয়াই মাধোপুরে এদিন এক নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেস জমানাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন সরকারে ছিল, তখন হনুমান চালিশা শোনাও পাপ ছিল। এদেশে যখনই কোনও দুর্বল সরকার ক্ষমতায় এসেছে তখনই সিরিয়াল বম্ব ব্লাস্ট হয়েছে। আতঙ্কবাদীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছে।
লোকসভা ভোটের আগে রামনবমীর মতোই হনুমান জয়ন্তীকে ঘাড়ে করে প্রচার-লঙ্কায় দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করেছে গেরুয়াধারী। দেশের বিভিন্ন কোণায় এদিন পুজোপাঠ, শোভাযাত্রা চলছে। প্রায় প্রতিটি মন্দিরে মাইক বাজিয়ে চলছে হনুমান চালিশা, রামভক্তের ভজন ইত্যাদি। এমনকী বিজেপির নেতারাও তাঁদের প্রচারে জয় শ্রীরামের বদলে আজকের দিনের জন্য জয় বজরঙ্গবলী ধ্বনি তুলে ভাষণ শুরু করছেন।
রবিবার রাজস্থানের বাঁশোয়ারায় নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা রাখার সময় কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় আসে তাহবে মুসলমানদের কাছে মানুষের সম্পদ পুনঃবণ্টন করবে এবং সেই সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মন্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন দেশের সম্পদের উপর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রথম দাবি ছিল।
রবিবারের জনসভায় মোদীর বক্তৃতা শোনার পরই সরাসরি ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। রবিবার রাজস্থানের এক নির্বাচনী জনসভায় মোদী বলেন, কংগ্রেস ক্,ণতায় এলে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলি করে দেবে। পারিবারিক সোনা-রূপোর সঙ্গে বিবাহিত নারীদের গলায় পরা পবিত্র মঙ্গলসূত্র পর্যন্ত তারা কেড়ে নিয়ে বাটোয়ারা করে দেবে।
রাজস্থানের নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা নিয়ে মুখ খুললো না নির্বাচন কমিশন। এই নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে ‘আমরা মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করি’ বলেই দায় এড়ালেন নির্বাচনী প্যানেলের মুখপাত্র।