দেশের অধিকাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কই কি বেসরকারিকরণের পথে? খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আর্থিক উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যের কথাতেই মিলল সেই ইঙ্গিত। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব সান্যাল বলছেন, আগামী দিনে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা জীবিত থাকবে। এবং ভারতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব সান্যাল এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,”আমার মনে হয়, চারটি বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থাকবে। এবং ভবিষ্যতে ভারতীয় ব্যাঙ্ককিং ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।” তবে সঞ্জীববাবু জানান, তিনিও চান ধীরে ধীরে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বেসরকারি অংশীদারী বাড়ুক।
মোদির উপদেষ্টার মুখে থেকে সরকারি ব্যাঙ্ক বেসরকারি হওয়ার ইঙ্গিত পেয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকে। ইন্দিরা গান্ধী ব্যাঙ্ক সরকারিকরণ করেছিলেন।দেশবাসীর আস্থা ফিরিয়েছিলেন। তার আগে কথায় কোথায় গনেশ উল্টে দিয়ে লালবাতি জ্বালিয়ে দিত ব্যাংকগুলি। মানুষ সর্বশান্ত হতেন। ফের সেই জমানা ফিরতে চলেছে বলে আশংকা করছেন অনেকে। তাদের অভিযোগ যিনি কাউকে না জায়নিয়ে নোট বন্দির মত দেশবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তার পক্ষে অসম্ভব কিছু নেই। তা ভক্তরা সেক্ষেত্রে ঠিকই বলেন, মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।
এই মুহূর্তে ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক রয়েছে ভারতে। সেগুলো হল ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র, কানারা ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব এবং সিন্ধ ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইউকো ব্যাঙ্ক এবং ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। জানা গিয়েছে এর মধ্যে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থাকবে। বাকি সব বেসরকারি হয়ে যাবে। বেসরাকরিতে সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যাংকার টাকা গুটিয়ে গুজরাটি মেহুল চোকসি কিংবা নীরব মোদির মত কেউ হাওয়া হয়ে যাবে না তো?