বিরোধীরা বলে, মোদী জমানায় দেশের উন্নয়ন বা গঠনমূলক কোনও কিছুই হচ্ছে না শুধু নাম বদলের পাশাপাশি শুধু ইতিহাসের ভোল বদল ঘটছে মোদীর রাজত্বে। রেলস্টেশন, সড়কের মুঘল ঘেঁষা নাম বদল হয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় স্কুলের সিলেবাস থেকে বাদ পড়ল মুঘল যুগের ইতিহাস (Mughal history)। অর্থাৎ লালকেল্লার ইতিহাস, শাহজাহান, কিংবা দীন ই ইলাহীর ইতিহাস আর পড়বে না পড়ুয়ারা।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং(NCERT)-এর পরামর্শ মেনে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এর পরই শিক্ষার গেরুয়াকরণের অভিযোগে বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। যদিও এদিন এনসিইআরটি-র তরফে সাফাই, সিলেবাস বদল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং মহামারীর কারণে অতিরিক্ত চাপে পড়া শিক্ষার্থীদের সাহায্য করা হয়েছে। তাঁদের উপর থেকে সিলেবাসের অতিরিক্ত বোঝা লাঘব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: LPG Cylinder: দাম কমল এলপিজি-র, কলকাতায় কত হল গ্যাসের দাম?
শুধু দ্বাদশ শ্রেণি নয়, একাদশ শ্রেণির সিলেবাস থেকেও ‘সেন্ট্রাল ইসলামিক ল্যান্ডস’ অথবা ‘শিল্পবিপ্লব’ সংক্রান্ত অধ্যায় আর রাখা হবে না বলে স্থির হয়েছে। বাদ দেওয়া গুজরাট দাঙ্গার মত বিষয়ও। মূল কথা, গেরুয়া মতার্দশে আঘাত হানে এমন কিছুই আর বইয়ের পাতায় রাখতে দিচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। শুধু ইতিহাস নয়, সমাজবিজ্ঞান এবং হিন্দি সাহিত্যের বই থেকে পর্যন্ত বাদ পড়তে চলেছে বেশ কিছু অধ্যায়। বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন প্রভাব সংক্রান্ত অধ্যায় বাদ যাচ্ছে পলিটিক্যাল সায়েন্সের পাঠ্যক্রম থেকে। পাশাপাশি ঐতিহাসিক ঠান্ডা যুদ্ধের বিবরণও বাদ যাচ্ছে সিলেবাস থেকে।
এই ঘটনায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। সত্যিই কী মুঘল ইতিহাস বাদ দিয়ে ভারতের ইতিহাস হতে পারে! উঠছে প্রশ্ন। এইভাবে নির্বাচিত ইতিহাস পড়লে পড়ুয়ারা পরবর্তী সময়ে প্রভূত সমস্যায় পড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত’ বলে চিহ্নিত করেছেন।
আরও পড়ুন: Murder: নবরাত্রিতে আমিষ খাওয়ার বায়না! স্ত্রীকে খুনের পর দেহ লোপাট যুবকের